ডেস্ক নিউজ: সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দুই স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। বাবার মৃত্যুর পর লাশ দাফনে বাধা দেয় এক পক্ষ। পরে সব ছেলেদের কেস্থানীয় রাজনীতিবিদ ও লোক জনের মধ্যস্থতায় ১৬ ঘণ্টা পর লাশ দাফন করা হয়। যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটাগ্রামে কোটা পুর্বপাড়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের অবসর প্রাপ্ত চাকরিজীবী হাবিবুর রহমান হবি বিশ্বাস (৭০) বুধবার সকাল ছয়টার দিকে বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যান। পরে রাত দশটায় তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, বাবার মরদেহ উঠানে রেখে ছেলেরা জমিজমা নিয়ে শালিসে বসে। সকালে বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যান হবি বিশ্বাস। তার ৪ জন স্ত্রী মোট ৯ জন ছেলে মেয়ে। তবে তিনি ছোট স্ত্রী ও ছোট সন্তান সোহেল বিশ্বাসের কাছে থাকতেন। সেই সুবাদে সোহেল বিশ্বাসের মাকে ৮৩ শতক জমি লিখে দেয় সে। যানিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস করা হয়। কিন্তু হবি বিশ^াস তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন সব সময়। বাবা মারা যাওয়ার খবর শুনে ছেলে আাতাউর, সুমন,আনোয়ার ও হাফিজুর কবর খুড়তে ও লাশ দাফনে বাঁধা দেয়। এ ভাবেই দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয় তবুও কবর খুড়তে দেওয়া হয়নি কাউকে। অবশেষে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও কতিপয় ব্যক্তি সব ছেলেদেরকে নিয়ে বিকালে শালিসে বসে। একপর্যয়ে ছোট মায়ের নামে থাকা ৮৩ শতক জমির ৫০ শতক জমি সমানভাবে অন্য ছেলেদের লিখে দেওয়ার মুচলেকায় কবর খুড়ার অনুমতি মেলে।
ছোট স্ত্রীর ছেলে সোহেল বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর পর কবর খুড়তে গেলে আমার সৎ ভায়েরা বাঁধা দেয়। পরে শালিসী বৈঠকে ৫০ শতক জমিতাদের নামে আমার মা লিখে দিতে চাইলে; তারা কবর খুড়ার অনুমতি দিয়েছে।,
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শালিশী বৈঠকে উপস্থিত সাবেক ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, জমিজমা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।আমরা থেকে মিমাংসা করে দিয়েছি। অবশেষে মৃত হাবিবুর রহমান হবিকে রাতে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চলিশিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান বলেন, ৮৩ শতক জমিনিয়ে সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও কতিপয় ব্যক্তি সমস্যা সমাধান করেছে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.