মুক্তেশ্বরী নদীতে উচ্ছেদে অভিযান কারেন্ট জালে মাছ নিধনে প্রশাসনের কঠোর হুঁশিয়ার
- আপডেট সময় : ১০:১৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক, ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুরঃ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মুক্তেশ্বরী নদী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাটা ও কারেন্ট জালের দখলে ছিল। এতে করে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দেশীয় জাতের মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছিল। সাধারণ জেলেরা পড়ছিলেন চরম দুর্ভোগে।
অবশেষে ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) মুক্তেশ্বরী নদীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত হয় অবৈধ পাটা উচ্ছেদ অভিযান। এ সময় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও মাংস কর্মকর্তার নেতৃত্বে এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে নদী থেকে একের পর এক অবৈধ পাটা ও কারেন্ট জাল সরিয়ে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না অভিযানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না, তবে তার নির্দেশনায় অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পাটা স্থাপন করে এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে আসছিল। এর ফলে একদিকে মাছের প্রজনন মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছে, অন্যদিকে নদীতে সাগর শেওলা জমে জাল ফেলাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সাধারণ মাছ শিকারি দরিদ্র জনগোষ্ঠী একদিকে যেমন মাছ পাচ্ছে না, তেমনি জীবিকা নির্বাহে পড়ছে চরম বিপাকে।
কারেন্ট জাল ব্যবহার সম্পর্কে মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, এই জাল এতটাই সূক্ষ্ম যে মাছের এক-দুই দিনের বাচ্চাও আটকা পড়ে মারা যায়। যা ভবিষ্যৎ মাছ উৎপাদনের জন্য মারাত্মক হুমকি। সেই সাথে নদীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নিষিদ্ধ জাল।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ দখলদারদের কোনো ছাড় নেই। নদী রক্ষায় আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। তিনি আরও জানান, নদীর স্বাভাবিক গতি ও পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে এলাকাবাসী এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন— এমন অভিযান নিয়মিত হলে আবারও মুক্তেশ্বরী নদী ফিরে পাবে তার প্রাণ।
























