মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

- আপডেট সময় : ১১:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষককে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বলে জানা গেছে। তবে প্রধান শিক্ষকের সাথে ম্যানেজিং কমিটির দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও চক্রান্তের কারণে তাকে বরখাস্তের শিকার হতে হয়েছে বলে জানান রফিকুল ইসলাম।ম্যানেজিং কমিটির বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জুনিয়র শিক্ষক থেকে অবৈধভাবে পদোন্নতি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনা রশিদে টাকা আদায়, পেশাগত অসদাচরণ, ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশনা অমান্য করা, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ও ছুটি ছাড়াই ভারতে অবস্থান করা ও কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এসব নানাবিধ অভিযোগ তুলে ম্যানেজিং কমিটি তাকে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল এবং চলতি বছরের ৫ মে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়। প্রধান শিক্ষক শুধু ২৩ এপ্রিলে দেয়া কারণ দর্শানোর জবাব দেন। তবে এই জবাবে সন্তোষ্ট হয়নি ম্যানেজিং কমিটি। এ বিষয়ে গত ১৩ মে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি সভার আহবান করে। কিন্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ঘটনা আঁচ করতে পেরে ৪ দিনের মেডিকেল ছুটির দরখাস্ত দিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। ওইদিনই ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৬ মে থেকে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছিল। তারই ফসল হিসেবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।জনকল্যান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জমির উদ্দিন বলেন, বরখাস্ত পত্রে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সব অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য রয়েছে।