ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মহাজাগতিক ঘটনার স্বাক্ষী বাংলাদেশ, গোলাপি চাঁদ আকাশে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বিশ্বের সব কিছু যেন উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। ৬ ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। এখন আর এই ধারা চলমান নেই। গ্রীস্মের উত্তাপ পাওয়া যায় শীতকালেও। তাই বলা চলে কখন শীতকাল আর কখন হেমন্তকাল সেটা ভুলতে বসেছে নতুন প্রজন্ম। বাংলাদেশের ঋণ পরিবর্তনের মত হাওয়া লেগেছে চাঁদের গাঁয়েও। তাই তো চাঁদও রূপ বদলাতে শুরু করেছে।গতকাল বুধবার বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশেও গোলাপি চাঁদের দেখা মিলেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গেছে বিশেষ রঙ্গের এ চাঁদ। তবে যে গরম তাতে মানুষের উৎসাহ ছিলো না বিশেষ এই চাঁদ দেখার।জানা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশের আকাশে দেখা যাওয়া গোলাপি রঙের চাঁদের ছবি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। তবে যারা দেখতে পাননি তারা তো বিশ্বাসই করতে চাইচেন না। তবে বলে রাখা ভালো চাঁদের যেহেতু নিজস্ব কোনো আলো নাই তাই সে যে কোনো রং ধারণ করতে পারে অন্যের সাহায্যে।জানা গেছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে কয়েক দিন ধরে দেখা গেলেও দেশের আকাশে আজই তা উজ্জ্বলভাবে দেখা যাচ্ছে। গোলাপি এপ্রিলের পূর্ণিমার এ চাঁদের আরও নাম রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ, ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, শুক্রবার ভোর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আকাশ ‘গোলাপি চাঁদে’ উজ্জ্বল থাকবে। তবে শনিবার চাঁদের ঔজ্জ্বল্য সবচেয়ে বেশি থাকবে।
এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়।
এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়। এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মহাজাগতিক ঘটনার স্বাক্ষী বাংলাদেশ, গোলাপি চাঁদ আকাশে

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বিশ্বের সব কিছু যেন উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। ৬ ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। এখন আর এই ধারা চলমান নেই। গ্রীস্মের উত্তাপ পাওয়া যায় শীতকালেও। তাই বলা চলে কখন শীতকাল আর কখন হেমন্তকাল সেটা ভুলতে বসেছে নতুন প্রজন্ম। বাংলাদেশের ঋণ পরিবর্তনের মত হাওয়া লেগেছে চাঁদের গাঁয়েও। তাই তো চাঁদও রূপ বদলাতে শুরু করেছে।গতকাল বুধবার বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশেও গোলাপি চাঁদের দেখা মিলেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গেছে বিশেষ রঙ্গের এ চাঁদ। তবে যে গরম তাতে মানুষের উৎসাহ ছিলো না বিশেষ এই চাঁদ দেখার।জানা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশের আকাশে দেখা যাওয়া গোলাপি রঙের চাঁদের ছবি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। তবে যারা দেখতে পাননি তারা তো বিশ্বাসই করতে চাইচেন না। তবে বলে রাখা ভালো চাঁদের যেহেতু নিজস্ব কোনো আলো নাই তাই সে যে কোনো রং ধারণ করতে পারে অন্যের সাহায্যে।জানা গেছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে কয়েক দিন ধরে দেখা গেলেও দেশের আকাশে আজই তা উজ্জ্বলভাবে দেখা যাচ্ছে। গোলাপি এপ্রিলের পূর্ণিমার এ চাঁদের আরও নাম রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ, ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, শুক্রবার ভোর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আকাশ ‘গোলাপি চাঁদে’ উজ্জ্বল থাকবে। তবে শনিবার চাঁদের ঔজ্জ্বল্য সবচেয়ে বেশি থাকবে।
এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়।
এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়। এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়।