মনিরামপুরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন- ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন

- আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক, ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন–২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত প্রধান চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সুধীজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, টাইফয়েড একটি সংক্রামক রোগ, যা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে টিকাদানি সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সরকারের এই কর্মসূচের লক্ষ্য – উপজেলার প্রতিটি শিশুর জন্মনিবন্ধন এখনো সম্পন্ন হয়নি তারাও এই টিকা গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের সচেতনতা ও সহযোগিতাই এই ক্যাম্পেরিনের সাফল্যের চাবিকাঠি। আমরা চাই মনিরামপুর উপজেলাকে টাইফয়েড মুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, এ বছর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ধাপে ধাপে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাঁচ বছর থেকে পনেরো বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের এই টিকা প্রদান করা হবে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে ইউনিয়নভিত্তিক কর্মসূচির সময়সূচি নির্ধারণ করেছে।
অনুষ্ঠানে ওসি বাবলুর রহমান বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলেও সফল বাস্তবায়নের জন্য জনগণের অংশগ্রহণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকরা যেন সন্তানদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসেন, সে আহ্বান জানাচ্ছি।
টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী দিনে স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে শতাধিক শিশুকে টিকা প্রদান করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আগত অতিথি ও অভিভাবকদের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সবাই টাইফয়েডমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সরকারের এই উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন। তারা বলেন, নিয়মিত টিকাদান ও সুষ্ঠু জনসচেতনতা গড়ে উঠলে মনিরামপুরসহ সারাদেশে শিশু মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।