ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময় বিদায়ের সুরে শ্যামনগরের পূজা মণ্ডপগুলো পটুয়াখালীতে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ‎ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আসিফ কাজলের আজ জন্মদিন

মধ্যপ্রাচ্য থেকে অলংকারের নামে স্বর্ণবার আনায় কড়াকড়ি

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
যে কোন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনতে পারেন। এক যুগ ধরে ব্যাগেজ বিধিমালায় এই সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। এবার সেই সুবিধার অপব্যবহার ঠেকাতে স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে ব্যাগেজ বিধিমালায়।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকারের মতো দেখতে অপরিশোধিত স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট) আনার প্রবণতা বাড়ছে। সে জন্য ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করার প্রস্তাব করেন তিনি।

জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একজন কাস্টমস কর্মকর্তা দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বর্ণালংকারের নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবারের চুড়ি নিয়ে আসার হার সম্প্রতি বেড়ে গেছে। প্রতি তোলা স্বর্ণবারের শুল্ককর চার হাজার টাকা।

সেই হিসেবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবারের শুল্ককর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। এই শুল্ককর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কিছুই করার ছিল না কাস্টমস কর্মকর্তাদের; কারণ, স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা ছিল না। সে জন্য নতুন বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন এই সুবিধার অপব্যবহার হবে না।

বাজেটে ‘অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালায়’ স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’ নতুন এই সংজ্ঞার কারণে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বার দিয়ে ১০০ গ্রাম ওজনের মোটা চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ শেষ হয়ে গেল। এখন একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২২ ক্যারেটের প্রকৃত স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবেন।

তবে এবারের বাজেটেও আগের মতোই একজন যাত্রী শুল্ককর পরিশোধ করে ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার আনতে পারবেন। প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের জন্য চার হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। সেই হিসেবে ১১৭ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণবার আনতে ৪০ হাজার টাকা শুল্ক কর দিতে হবে। এর বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো যাত্রী এর বেশি স্বর্ণবার আনলে তা বাজেয়াপ্ত করার বিধান আছে।

এবারের ব্যাগেজ বিধিমালায় ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীদের জন্য স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

একজন কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ পাচার ঠেকাতে সরকার প্রতিবছর নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, যদিও পাচারকারীরা থেমে নেই। তারাও আইনের ফাঁকফোকর বের করে নানা কৌশল বের করছে। এবার অলংকারের নামে স্বর্ণবার আনার পাচারকারীদের এই কৌশলও বন্ধ করে দেওয়া হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মধ্যপ্রাচ্য থেকে অলংকারের নামে স্বর্ণবার আনায় কড়াকড়ি

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
যে কোন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনতে পারেন। এক যুগ ধরে ব্যাগেজ বিধিমালায় এই সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। এবার সেই সুবিধার অপব্যবহার ঠেকাতে স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে ব্যাগেজ বিধিমালায়।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকারের মতো দেখতে অপরিশোধিত স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট) আনার প্রবণতা বাড়ছে। সে জন্য ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করার প্রস্তাব করেন তিনি।

জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একজন কাস্টমস কর্মকর্তা দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বর্ণালংকারের নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবারের চুড়ি নিয়ে আসার হার সম্প্রতি বেড়ে গেছে। প্রতি তোলা স্বর্ণবারের শুল্ককর চার হাজার টাকা।

সেই হিসেবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবারের শুল্ককর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। এই শুল্ককর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কিছুই করার ছিল না কাস্টমস কর্মকর্তাদের; কারণ, স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা ছিল না। সে জন্য নতুন বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন এই সুবিধার অপব্যবহার হবে না।

বাজেটে ‘অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালায়’ স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’ নতুন এই সংজ্ঞার কারণে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বার দিয়ে ১০০ গ্রাম ওজনের মোটা চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ শেষ হয়ে গেল। এখন একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২২ ক্যারেটের প্রকৃত স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবেন।

তবে এবারের বাজেটেও আগের মতোই একজন যাত্রী শুল্ককর পরিশোধ করে ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার আনতে পারবেন। প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের জন্য চার হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। সেই হিসেবে ১১৭ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণবার আনতে ৪০ হাজার টাকা শুল্ক কর দিতে হবে। এর বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো যাত্রী এর বেশি স্বর্ণবার আনলে তা বাজেয়াপ্ত করার বিধান আছে।

এবারের ব্যাগেজ বিধিমালায় ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীদের জন্য স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

একজন কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ পাচার ঠেকাতে সরকার প্রতিবছর নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, যদিও পাচারকারীরা থেমে নেই। তারাও আইনের ফাঁকফোকর বের করে নানা কৌশল বের করছে। এবার অলংকারের নামে স্বর্ণবার আনার পাচারকারীদের এই কৌশলও বন্ধ করে দেওয়া হলো।