ভোমরায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে বিশাল মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

জি এম আব্বাস উদ্দীনঃ-তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার শাসনামলে মাদক নির্মূলে ঘোষিত হয় জিরো টলারেন্স। সাতক্ষীরাকে মাদক মুক্ত করতে এবং শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ধরতে শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান। গত ২০১৮ সালের মে মাসে মাদক বিরোধী অভিযানে ভোমরা সীমান্তের আজগর আলীর পুত্র শীর্ষ মাদককারবারি খলিল ওরফে পুটে পুলিশের গুলিতে ( ক্রসফায়ার) নিহত হয়। দীর্ঘ ছয় বছর অতিক্রেমের পর মাদক কারবারি খলিলকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এনে ভোমরা কাস্টমস সি এন্ড এফ এজেন্টস কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, ভোমরা বন্দর ১৭২২ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ভোমরা বন্দর ১১৫৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ও ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজিসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় উত্তর কাটিয়া গ্রামের উসমান গাজীর ছেলে জাফর এবং নিহতের চাচা ও ভাই বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ১ নং আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বন্দরের সফল ব্যবসায়ী ও অধিক করদাতা, শ্রমিক নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হয়রানি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠে বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের জনগণ ও বন্দর ব্যবহারকারী সকল সংগঠনের হাজার হাজার কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। এ মিথ্যা মামলা প্রতাহারের দাবিতে মঙ্গলবার ( ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বেলা ১২ টায় স্থল শুল্ক স্টেশন সংলগ্ন বন্দর সড়কে ভোমরার ৪টি শ্রমিক সংগঠন, সিএন্ডএফ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি এবং ভোমরা ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে এক বিশাল মানব বন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বন্দর সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে মদদ যুগিয়ে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে ভোমরার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুর রহমানের ছবিতে প্রতিবাদী জনতা জুতোপেটা ও আগুন ধরিয়ে দিয়ে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। মানব বন্ধন কর্মসূচি থেকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জামাত নেতা মাওলানা ওবায়দুল্যাহ, ট্রান্সপোর্ট সমবায় সমিতির ৮৬ /৭ এর আহবায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, গ্রামডাক্তার জাহাঙ্গীর হোসেন,শ্রমিক নেতা লুৎফর রহমান, সিএন্ডএফ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ ঘোষ ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা, সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী আাসাদুল হক ও শ্রমিক নেতা আলা-আমিন। কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বক্তারা বলেন, হয়রানি ষড়যন্ত্র মূলক ও মিথ্যা মামলা অতিশীঘ্র প্রত্যাহার না হলে ভোমরা বন্দরের বিভিন্ন সংগঠন সহ সর্বস্তরের জনগণ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। মৃত খলিল আহমদ এর স্ত্রী মিনা খাতুন ও পিতা আজগার আলীর মানববন্ধনে তার বক্তব্য বলেন এই মামলা আমাদের পক্ষে কেউ করি নাই নিরীহ মানুষদের নামে মিথ্যা ভাবে যারা মামলা করেছে তাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন, তিনি আরো বলেন আমি বেঁচে আছি মামলাতে আমাকে মৃত দেখিয়েছে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে যারা তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ এর দাবিও করেন।