ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে দেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়াঃ-
ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেন, ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

বুধবার (২৬ জুন) দলটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলের সাংগঠনিক সমন্বায়ক ইমরান ইমন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রধান সমন্বায়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, সরকার এ দেশের জনগণের টাকা খরচ করে ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ট্রানজিট যদি দিতেই হয় তাহলে সেটা হতে হবে ট্রান্স-এশিয়ান কানেকশনে যুক্ত সব দেশের সঙ্গেই। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটা দেশকে ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে দেশকে অন্যান্য দেশের বিপক্ষে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

দলের রাজনৈতিক সম্পাদক ফরিদুল হক বলেন, ভারত অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়। কারণ, দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ভারত তা হতে দিতে চায় না। এজন্যই সার্ককে তারা অকার্যকর করে রেখেছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে সমন্বায়ক ইমরান ইমন বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে ইউরোপের মধ্যে ফ্রি যাতায়াতের উদাহরণ দিয়েছে সেটি কোনোভাবেই ভারত-বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেখানে যাতায়াত হয় সমমর্যাদার দুই দেশের মধ্যে। সেখানে এক দেশ আরেক দেশকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক বিকাশের জন্য বর্তমান সরকারের অপসারণের কোনো বিকল্প নাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, ঢাকা জেলা সমন্বায়ক শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে দেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়াঃ-
ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেন, ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

বুধবার (২৬ জুন) দলটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলের সাংগঠনিক সমন্বায়ক ইমরান ইমন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রধান সমন্বায়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, সরকার এ দেশের জনগণের টাকা খরচ করে ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ট্রানজিট যদি দিতেই হয় তাহলে সেটা হতে হবে ট্রান্স-এশিয়ান কানেকশনে যুক্ত সব দেশের সঙ্গেই। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটা দেশকে ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে দেশকে অন্যান্য দেশের বিপক্ষে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

দলের রাজনৈতিক সম্পাদক ফরিদুল হক বলেন, ভারত অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়। কারণ, দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ভারত তা হতে দিতে চায় না। এজন্যই সার্ককে তারা অকার্যকর করে রেখেছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে সমন্বায়ক ইমরান ইমন বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে ইউরোপের মধ্যে ফ্রি যাতায়াতের উদাহরণ দিয়েছে সেটি কোনোভাবেই ভারত-বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেখানে যাতায়াত হয় সমমর্যাদার দুই দেশের মধ্যে। সেখানে এক দেশ আরেক দেশকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক বিকাশের জন্য বর্তমান সরকারের অপসারণের কোনো বিকল্প নাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, ঢাকা জেলা সমন্বায়ক শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।