বোন ও দুলাভাই দ্বারা হয়রানি-মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে বেনাপোলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : অদ্য ১৫-১০-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায়-যশোরের শার্শা উপজেলার-বাগআঁচড়ার সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বোন ও দুলাভাই দ্বারা হয়রানি-মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে বেনাপোলে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন >>> আমি মোঃ আসাদুজ্জামান (আসাদ) পিতা: আ,ফ,ম নেছার আলী গ্রাম:বাগাআচড়া শার্শা-যশোর। আজ ১৫/১০/২০২৫ ইং তারিখে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে জানাচ্ছি যে, গত ২৯/০৯/২০২৫ ইং তারিখে আমার বোন মোছাঃ আনজুয়ারা খাতুন (শিমুল) কর্তৃক শার্শা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি মিথ্যা। গত ২১ শে জুলাই ২০২৫ ইংরেজ তারিখে আমার বোন এবং বোনের স্বামী মোঃ শফিকুল ইসলাম স্থানীয় অজ্ঞাতনামা দুজনকে দিয়ে মোবাইল ফোনে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা পাই মর্মে দাবী করা,গত ২৮/০ ৯/২০২৫ ইংরেজ তারিখ আমার বোন বিকাল আনুমানিক পাঁচটার দিকে আমার বাড়ির মেইন গেইট বাইরে থেকে আটকিয়ে দেয়া,পরেরদিন ২৯/১০/২০২৫ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৮:৩০ ঘটিকায় আমার বোন এবং ভাগ্নে বাড়ির মেইন গেট দিয়ে প্রবেশ করে বিল্ডিং এর পেছনের পকেট গেট তালা লাগিয়ে দেয়া,সামনে এসে শিহাব তার মাকে বিল্ডিং এর ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে (কলবসিবল)কেইছি গেটে তালা লাগিয়ে শিহাব হোসেন বাইরে থেকে আমার রুমের জানালা দিয়ে আমার দিকে মোবাইল তাক করে রাখা , এসব গুলি ছিল আমাদের পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে ধরে একটি সাজানো পাতানো অভিনয় ও প্রহসন মূলক ঘটনা। আমার বোন এবং তার স্বামী আমার কাছে কোন টাকা পাইনা। উপরন্ত-আমি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফিরে আসার পরে আমার দুলাভাই শফিকুল ইসলাম এবং আমার
বোন আমার কাছ থেকে যেসব টাকা নিয়েছে সে সব টাকা আমাকে এখনো পুরোটাই ফিরিয়ে দেয় নাই।
আমাকে যেদিন আমার বোন এবং ভাগ্নে আমার বাড়িতে এসে আমাকে জিম্মি করে ঐদিন আমার বোনের পাশে আমি ছিলাম না আমি রুমের মধ্যে অবরুদ্ধ ছিলাম আমার বোনকে আমি মারি নাই আমি তাকে স্পর্শ করি নাই।
রুমের বাইরে অবস্থান করা আমার ছেলে রুমের বাইরে থেকে এবং আমি রুমের ভিতর থেকে জানালা দিয়ে এবং থাই গ্লাসের দরজার ভিতর দিয়ে ভিডিও করেছি।
উক্ত ভিডিওতে একেবারেই স্পষ্ট যে আমার বোন বারান্দা দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের বউয়ের কাছে প্রথমে মোবাইল চেয়ে নিল এরপরে মোবাইল রেখে বলল কাগজের ভিতরে ঐটা দে।
ঐটা হাতে নিয়ে সে তার জামার ভিতরে লুকিয়ে নিয়ে মাঝের ঘর দিয়ে আমার কিসেন এবং ডাইনিং এর মধ্যে দিয়ে আমার রুমের পিছন দিকের থাই গ্লাসের দরজার সামনে আসে ওখানেই সে তারা নিজেই নিজের মাথায় ব্লেড মারে পুরো ভিডিওটি আমার ছেলে তার পিছনে পিছনে ছিল এবং আমি থাই গ্লাসের ভিতর দিয়ে ভিডিও করেছি।
ঘটনা ঘটানোর কয়েকদিন আগে থেকেই আমার বোন আনজুয়ারা খাতুন শিমুল ও আমার বোনাই শফিকুল ইসলাম বলতে থাকে স্থানীয় মস্তান দিয়ে এবং কতিপয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে দিয়ে আমাকে মেরে সংবাদ পরিবেশন করে জেল হাজতে পাঠাবে।
উল্লেখ্য আমার ভাগ্নে তার মাকে
ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে -আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কারীদের বিরুদ্ধে আজকে আমার এই সংবাদ সম্মেলন।
আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী ও মানবাধিকার কর্মী।
২০০৭ সালে আমার শিক্ষাজীবন শেষ করে ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতে আমার কর্মজীবন শুরু করি ২০২১ সালে আমি দেশে চলে আসি ২০২৩ সালে আমি আবারও দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকি।
ইতিমধ্যে আমার ছোট দুলাভাই মোঃ শফিকুল ইসলামে ও আমার বোন আঞ্জুয়ারা খাতুন শিমুল তার ছেলে শিহাব হোসেনকে কোরিয়াতে যাওয়ার ব্যাপারে আমার সহযোগিতা চায়।
আমার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরা জোরির কারণে এক পর্যায়ে গত ১০/ ০৭/২০২৩ ইংরেজ তারিখে আমার বোন এবং বোনাই শিহাবকে আমার সাথে ঢাকাতে পাঠানো করে।
আমরা মামা ভাগ্নে উভয়ই বেসরকারিভাবে E-7 ভিসায় শীপ বিল্ডিংয়ে চাকুরী নিয়ে কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য এস এম ইন্টারন্যাশনালে দুজনের পাসপোর্ট এবং ২(দুই) লক্ষ টাকাজমা করি।
কয়েকদিনের মধ্যে জানতে পারি কোরিয়াতে বেসরকারিভাবে যাওয়ার যে উপায় ছিল সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে- ফলে পাসপোর্ট দুটি ফেরত নেই কিন্তু টাকা ফেরত নিতে জীবন যায় যায় অবস্থা তৈরি হলে আমি 71 টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারির কাছে এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিই।
যে সাক্ষাৎকারটি গত ২৮/০৯/২০২৩ ইংরেজ তারিখে সাংবাদিক ঝুমুর বারির-বাংলার প্রবাসী জীবন নামক অফিসিয়াল পেইজে পাবলিস্ট করে।
পরবর্তীতে আমার বোন তার স্বামী শফিকুল ইসলামের কথামতো আমি তাকে ঢাকায় রেখে দিয়ে ইপিএস এর আওতায় শিপ বিল্ডিং এ পরীক্ষা দেওয়া থেকে শুরু করে আমার কাছে চাহিত সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করি এবং শীপ বিল্ডিং এর উপর স্টাডি করতে স্টুডেন্ট ভিসায় কোরিয়া ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য ঢাকায় অবস্থিত AIUB ক্যাম্পাস ঢাকা-১ সেজং হাকদাং এ লেভেল-৩ কমপ্লিট করার জন্য ভর্তি করিয়ে দিই।এবং আমার ভাগ্নে শিহাব হোসেন ঢাকাতে অবস্থানকালীন সকল ধরনের খরচের টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ছে।
ভাগ্নে শিহাব হোসেন লেবেল-২শেষ করেই তার পিতা শফিকুল ইসলামের কথামতো গত জানুয়ারি ২০২৫ ইংরেজ তারিখে বাড়িতে চলে আসে।
ভাগ্নে শিহাবের ঢাকা থেকে চলে আসা এবং ঢাকাতে আর ফিরে না যাওয়ার কথাটা শুনে আমি খারাপ কোন আভাস পেয়েছিলাম।
কিছুদিনের মধ্যেই আমার দুলাভাই শফিকুল ইসলামের আসল চরিত্র প্রকাশ পাওয়া শুরু হলো।
গত চার মাস আগে আমার বোনকে আমার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে উঠিয়ে দিল।
এদিকে আমার ছোট বোন আমার কাছে বলে আমাকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাও আমি
বাড়ি চলে যায়-টাকা না দিলে তোমার দুলাভাই আমাকে ছেড়ে দিবে।
এই ঘটনার জন্য আমি দায়ী করব ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আমার দুলাভাই শফিকুল ইসলাম এবং তৃতীয় একটি পক্ষকে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর ঘটনার দিনে বাগআচড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ইমদাদুল সাহেব একটি টিম নিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে।এই দিনেই আমার বোন আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে।উক্ত অভিযোগের কপি হাতে পেয়ে কতিপয় গণমাধ্যম কর্মীগণ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বোনের দায়ের করা অভিযোগের মূল বক্তব্যের বাইরে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ও অন্যান্য মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করে আমাকে ব্যাপকভাবে মানহানি করেছে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই আমি আইনী সহায়তা নিতে চাই এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
সাথে সাথে- সহকর্মী সকল গণমাধ্যম কর্মীগণ আমাকে সহযোগিতা করবেন বলে আমি আশা করছি।