ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বাণিজ্য: কালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিকাশ নাম্বারে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রাণীশংকৈলে বিএনপি ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বকশীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাবেক নৌ সদস্যের মৃত্যু বকশীগঞ্জ নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ জহুরুল হোসেন শ্যামনগরে জেলা প্রশাসকের নানাবিধ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পুলিশের মাসিক পরিদর্শন সোনাগাজীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা বেপরোয়া চেয়ারম্যান পরিবহন, আতঙ্কে দুমকীবাসী তৌফিকুর রহমানের প্রতিবেদন “সাদাকে সাদা কালোকে–“

বেপরোয়া চেয়ারম্যান পরিবহন, আতঙ্কে দুমকীবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে


‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃপটুয়াখালী–দুমকী–বাউফল–দশমিনা আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনার অন্যতম দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে চেয়ারম্যান পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস। বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক এবং প্রতিযোগিতামূলক চালনাই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

‎ঢাকা–দুমকী–বাউফল রুটে সাকুরা, চেয়ারম্যান, কিংস, মুন, অন্তরা ও বাউফল ট্রাভেলসসহ একাধিক পরিবহন চলাচল করে। তবে গত তিন মাসে কেবল চেয়ারম্যান পরিবহনের বাসই অন্তত পাঁচ-ছয়টি বড় দুর্ঘটনার জন্ম দিয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কিংস পরিবহন।

‎সর্বশেষ গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজাখালী এলাকায় চেয়ারম্যান পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনজন—মুরাদিয়ার ফাহাদ মেহেদী, আজিজ আহম্মেদ কলেজ ছাত্রদল সভাপতি মমিন মৃধা ও শিক্ষার্থী তাজ। বর্তমানে তারা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।

‎এর আগে গত ২৫ আগস্ট বাউফলের ডা. ইয়াকুব শরীফ কলেজের সামনে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছেই।

‎স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বলছেন, সরু আঞ্চলিক সড়কে বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো বন্ধ না হলে যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বোর্ড অফিস বাজারের শ্রীকান্ত দাস, তালতলির হিরা হাওলাদার, রাজাখালীর পারভেজ, থানাব্রিজ এলাকার জলিলুর রহমানসহ অনেকে জানিয়েছেন—“চেয়ারম্যান পরিবহন এখন আতঙ্কের নাম।”

‎সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পরিবহনের মালিক দশমিনা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইকবাল মাহমুদ লিটন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি এলাকা ছেড়ে গেছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

‎দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, “চেয়ারম্যান পরিবহনের বেপরোয়া গতি ও দুর্ঘটনার খবর আমরা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যদি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কঠোর নজরদারি শুরু করে, দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।”

‎এদিকে, বারবার দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটলেও এখনো কার্যকর কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন হাজারো যাত্রী ও পথচারী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বেপরোয়া চেয়ারম্যান পরিবহন, আতঙ্কে দুমকীবাসী

আপডেট সময় : ০৬:২০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫


‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃপটুয়াখালী–দুমকী–বাউফল–দশমিনা আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনার অন্যতম দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে চেয়ারম্যান পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস। বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক এবং প্রতিযোগিতামূলক চালনাই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

‎ঢাকা–দুমকী–বাউফল রুটে সাকুরা, চেয়ারম্যান, কিংস, মুন, অন্তরা ও বাউফল ট্রাভেলসসহ একাধিক পরিবহন চলাচল করে। তবে গত তিন মাসে কেবল চেয়ারম্যান পরিবহনের বাসই অন্তত পাঁচ-ছয়টি বড় দুর্ঘটনার জন্ম দিয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কিংস পরিবহন।

‎সর্বশেষ গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজাখালী এলাকায় চেয়ারম্যান পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনজন—মুরাদিয়ার ফাহাদ মেহেদী, আজিজ আহম্মেদ কলেজ ছাত্রদল সভাপতি মমিন মৃধা ও শিক্ষার্থী তাজ। বর্তমানে তারা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।

‎এর আগে গত ২৫ আগস্ট বাউফলের ডা. ইয়াকুব শরীফ কলেজের সামনে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছেই।

‎স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বলছেন, সরু আঞ্চলিক সড়কে বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো বন্ধ না হলে যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বোর্ড অফিস বাজারের শ্রীকান্ত দাস, তালতলির হিরা হাওলাদার, রাজাখালীর পারভেজ, থানাব্রিজ এলাকার জলিলুর রহমানসহ অনেকে জানিয়েছেন—“চেয়ারম্যান পরিবহন এখন আতঙ্কের নাম।”

‎সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পরিবহনের মালিক দশমিনা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইকবাল মাহমুদ লিটন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি এলাকা ছেড়ে গেছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

‎দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, “চেয়ারম্যান পরিবহনের বেপরোয়া গতি ও দুর্ঘটনার খবর আমরা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যদি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কঠোর নজরদারি শুরু করে, দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।”

‎এদিকে, বারবার দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটলেও এখনো কার্যকর কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন হাজারো যাত্রী ও পথচারী।