ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাস্তার পাশে মরা গাছ ও পায়তালের ঝুঁকিতে আতংকিত হরিপুর বাসী বরিশালে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন আনসার ভিডিপির রেঞ্জ কমান্ডার জলবদ্ধতায় নাকাল কালীগঞ্জ উপজেলা সদরবাসী মনিরামপুরের বিভিন্ন পূজা মন্দিরে শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা মুতাছিম বিল্লাহ হবিগঞ্জে ৭৫ শিক্ষার্থীকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণে বরণ!তিন মাসের কোর্স শেষে ঘরে বসেই আয়ের সুযোগ সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুমকীতে কিশোর নির্যাতনকারী আটক যত বাধাই আসুক নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল মানবতা লজ্জিত:দুমকিতে প্রতিবন্ধীর ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পবিপ্রবিতে শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের কমিটি গঠিন  কুতুবদিয়ায় পূঁজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে গেলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম। আর্মি মেডিকেল কোর্প্স

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১১০ বার পড়া হয়েছে

মোঃতৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার, যশোর :-

DMC থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করার পর ১৯৭০ সালে লেফটেন্যান্ট হিসেবে ততকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরের অধীনে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে মেডিকেল কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে যে দুই নারী ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব পেয়েছেন, তাঁদের একজন ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা
বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম।

সিতারা রহমান ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জে জন্ম সিতারা বেগমের। বাবা মোহাম্মদ ইসরাইল এবং মা হাকিমুন নেসা। তবে বৈবাহিক সূত্রে তিনি সিতারা রহমান নামে পরিচিত। এসময় তার বড় ভাই এটিএম হায়দারও সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। স্বাধিকার আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন সিতারা।। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের ভেতর তিনি ছিলেন তৃতীয় ।তার বাবা মোঃ ইসরাইল মিয়া পেশায় ছিলেন আইনজীবী। তার সাথে কিশোরগঞ্জে সিতারা বেগম শৈশব কাটান। সেখান থেকে মেট্রিক পাশ করার পর হলিক্রস কলেজে থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ করার পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনা মেডিকেলে (আর্মি মেডিকেল) লেফটেন্যান্ট হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের উত্তাল দিনগুলোতে সিতারা বেগম কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়োজিত ছিলেন। সেই সময় তার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মেজর এ.টি. এম.হায়দার পাকিস্তান থেকে কুমিল্লায় বদলি হয়ে আসেন। তিনি কুমিল্লার ৩য় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিতারা ও তার ভাই হায়দার ঈদের ছুটি পালন করার জন্য তাদের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে যান।কিন্তু সেই সময়ে দেশ জুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।হায়দার তার বোনকে ক্যান্টনমেন্টে আর ফিরে না যাবার জন্য বলেন।পরবর্তিতে তিনি তার বোন সিতারা, বাবা-মা ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পার্শবর্তী দেশ ভারতে পাঠান। কিশোরগঞ্জ থেকে মেঘালয়ে পৌছাতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম। আর্মি মেডিকেল কোর্প্স

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোঃতৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার, যশোর :-

DMC থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করার পর ১৯৭০ সালে লেফটেন্যান্ট হিসেবে ততকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরের অধীনে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে মেডিকেল কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে যে দুই নারী ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব পেয়েছেন, তাঁদের একজন ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা
বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম।

সিতারা রহমান ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জে জন্ম সিতারা বেগমের। বাবা মোহাম্মদ ইসরাইল এবং মা হাকিমুন নেসা। তবে বৈবাহিক সূত্রে তিনি সিতারা রহমান নামে পরিচিত। এসময় তার বড় ভাই এটিএম হায়দারও সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। স্বাধিকার আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন সিতারা।। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের ভেতর তিনি ছিলেন তৃতীয় ।তার বাবা মোঃ ইসরাইল মিয়া পেশায় ছিলেন আইনজীবী। তার সাথে কিশোরগঞ্জে সিতারা বেগম শৈশব কাটান। সেখান থেকে মেট্রিক পাশ করার পর হলিক্রস কলেজে থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ করার পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনা মেডিকেলে (আর্মি মেডিকেল) লেফটেন্যান্ট হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের উত্তাল দিনগুলোতে সিতারা বেগম কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়োজিত ছিলেন। সেই সময় তার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মেজর এ.টি. এম.হায়দার পাকিস্তান থেকে কুমিল্লায় বদলি হয়ে আসেন। তিনি কুমিল্লার ৩য় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিতারা ও তার ভাই হায়দার ঈদের ছুটি পালন করার জন্য তাদের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে যান।কিন্তু সেই সময়ে দেশ জুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।হায়দার তার বোনকে ক্যান্টনমেন্টে আর ফিরে না যাবার জন্য বলেন।পরবর্তিতে তিনি তার বোন সিতারা, বাবা-মা ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পার্শবর্তী দেশ ভারতে পাঠান। কিশোরগঞ্জ থেকে মেঘালয়ে পৌছাতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায়।