
এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:
যশোরের মনিরামপুরে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে প্রেমিক যুবক জিসান ও তার সঙ্গে আসা। আত্মীয়স্বজনদের ওপর বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ উঠেছে ইমন বিশ্বাস নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বেপরোয়া আচরণে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়ায় যে শেষ পর্যন্ত ৯৯৯–এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুর গ্রামের সাহেব আলী বিশ্বাসের মেয়ে উর্মির সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার বলরামপুর এলাকার যুবক জিসান–এর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু জিসান বেকার হওয়ায় এ সম্পর্ক ও সম্ভাব্য বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন উর্মির বড় ভাই ইমন বিশ্বাস। এর আগেও একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও ইমন সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি এবং বেকার জিসানকে অযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।
অভিযোগ রয়েছে, হঠাৎ বিয়েতে সম্মতির কথা বলে ইমন বিশ্বাস কৌশলে জিসানকে তার আত্মীয়স্বজনসহ বাড়িতে আসতে বলেন। কথামতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিসান ও তার সঙ্গে থাকা স্বজনেরা ইমনের বাড়িতে গেলে পরিস্থিতি হঠাৎই পাল্টে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইমন ও তার সহযোগীরা জিসানের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় বাধা দিতে এলে তার আত্মীয়রাও হামলার শিকার হন।
আহত জিসানকে তার স্বজনেরা উদ্ধার করে ঢাকুরিয়া বাজারের নাজনীন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার সময় উর্মি জিসানের সঙ্গে যেতে চাইলে জিসানের আত্মীয়স্বজন তাকে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
হামলার পর জিসানের স্বজনেরা ৯৯৯–এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে দুই পক্ষের সমঝোতার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জিসানের মা বলেন, “আমরা কোনো মামলায় যেতে চাই না, ছেলের চিকিৎসাই এখন বড় বিষয়।
স্থানীয়দের মতে, উভয় পক্ষের আবেগী সিদ্ধান্ত ও অপরিণামদর্শী আচরণই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য স্পষ্ট হবে বলেও তারা মনে করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.