বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিং প্রতিযোগিতায় ইন্দুরকানী উপজেলা দ্বিতীয়

- আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
জনপ্রশাসনে উদ্ভাবনী কার্যক্রম জোরদারকরণ ও বাস্তবায়নযোগ্য উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহ শোকেসিং এর উদ্দেশ্যে বরিশাল বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলা ২০২৪ এ উদ্ভাবনী উদ্যোগ (ক) অনাবাদি স্থায়ী পতিত জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ ও (খ) অনাবাদি স্থায়ী পতিত জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে হলুদ চাষ প্রদর্শন করে বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিং প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রোববার (৩১মার্চ) বরিশাল বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুন নেছা সুমির হাতে পুরষ্কার তুলে দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।
উপজেলা ইনোভেশন টিমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সদস্য হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুন নেছা সুমি এবং উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামাল হোসেন, কেয়া শিকদার, আতিকুর রহমান অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুনান শিকদার সার্বক্ষণিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিরলসভাবে পরিশ্রম করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুন নেছা সুমি জানান, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে কৃষিখাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদে কৃষকদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের তৎপরতা ও সহযোগিতায় বাড়ির আঙিনা ও পরিত্যক্ত জমিতে শুরু হয়েছে নানান রকম সবজি ও ফল চাষ। যার মধ্যে অন্যতম ‘বস্তায় আদা ও হলুদ চাষ’। অনাবাদি স্থায়ী পতিত জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা ও হলুদ চাষ দুটি প্রকল্পে বিভাগীয় পর্যায়ে ইনোভেশন শোকেসিং প্রতিযোগিতায় আমরা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি। এটিকি আমি বিশাল অর্জন হিসেবে দেখছি এটা আমাদের সফলতা। কারন আমরা দানাদার শষ্যে পূর্নতা পেলেও মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে আমরা এখনো সয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করতে পারিনি বিশেষ করে আদা এবং হলুদ। তবে আদা ও হলুদ কিছুটা চাষাবাদ হলেও আমাদের দক্ষিনাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে এই মসলাটি এখনো সেভাবে করে আমদানি নিরবতা কমাতে পারিনি। সেই আলোকে আমার ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে প্রথমে আমি পরিক্ষা মূলক ভাবে ৮০টি বস্তায় ও কৃষক পর্যায়ে আরো ৬০টি বস্তায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১ম স্থাপন করেছিলাম এবং পরিক্ষা শেষে আমি দেখলাম ২০/২৫ টাকা খরচ করে ৫০ গ্রাম আদা থেকে প্রতি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি আদা পাওয়া সম্ভব। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে দেখলাম এটি লাভজনক এবং কৃষক বান্দব ও জনকল্যাণমুখী। এই ইনোভেশনকে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ব্যাপকভাবে প্রায় ৪০কেজির মত আমার উৎপাদিত আদা এবং প্রদর্শনীর আওতায় কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে আসছি। বর্তমানে আনুমানিক এক হাজার টি বস্তা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থান পেয়েছে আমার এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন আমি আমার কর্মের ইনোভেশন পেয়েছি এটি আমি জাতীয় পর্যায়ে ধরে রাখার চেষ্টা করবো এবং পরবর্তীতে আমার এই কার্যক্রম চলমান থাকবে এই ইনোভেশন সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরবে বলে আমি আশা করি। এই সফলতা আগামীতে এ পদ্ধতির চাষাবাদ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমি মনে করছি।
সবসময় কাজে সকল ধরনের সহযোগিতা ও সাপোর্ট করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কৃষি কর্মকর্তা।
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেজিং কম্পিটিশনে ইন্দুরকানী উপজেলা ২য় স্থান হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি এছাড়া ইনোভেশন সংক্রান্ত কাজে তার পরিশ্রম ও চেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়। বস্তাবন্দি পদ্ধতিতে আদা ও হলুদ চাষের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটবে বলে আমি মনে করি।
বিভাগীয় পর্যায়ে ০৬টি জেলার ৩৮টি ইনোভেশন এর মধ্যে ২৪টি প্রজেক্ট নির্বাচিত হয়েছিলো ও ২২টি স্টল ছিলো।