বিদ্যুৎ সচল রেখে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টানা ৪র্থ দিনের অবস্থান কর্মসূচী

- আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ ফেনী জেলা স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) দমন নিপীড়ন দূর্ণীতি, চাকরিচ্যুতির হুমকি ও নিম্ন মানের মালামাল ক্রয়ের প্রতিবাদে জরুরী বিদ্যুৎ সচল রেখে সারা দেশে ৮০টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি একযোগে ৪র্থ দিনের মত শান্তি পূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।
বুধবার ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারিগণ চতুর্থ দিনের মত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সবার উপস্থিতিতে সকল মিটার রিডার কাম ম্যসেঞ্জার গণের মাধ্যমে ৪ লক্ষাধিক গ্রাহকের রিডিং বাইন্ডার বই সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান গণের কাছে জমা প্রদান করা হয়।
ছাগলনাইয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন ডিজিএম (সদর-কারিগরী) প্রকৌশলী মোঃ শাহিন মিয়া, পবিস হিসাব রক্ষক মোঃ মনিরুজ্জমান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান ও বিমল সেন। এসময় জেলার পবিসের ৫টি জোনাল অফিস, ৩টি সাব-জোনাল অফিস ও ১ টি এরিয়া অফিস হতে চার শতাধিক কর্মকর্তা- কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, এবং দুর্নীতি ও দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং জরুরী গ্রাহক সেবার স্বার্থে নিম্ন মানের মালামাল ক্রয় বন্ধ করতে হবে।
আন্দোললন কারী কর্মকর্তা কর্মচারিগণ জানান, গত জানুয়ারি ২০২৪ হতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গুলো বোর্ডের এই অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, নিম্নমানের মালামাল ক্রয় এবং অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
তাদের লক্ষ্য হচ্ছে—গ্রাহকের জন্য সহজলভ্য, নিরবচ্ছিন্ন, আধুনিক ও হয়রানীমুক্ত বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা।
বিদ্যমান গ্রামীণ বৈদ্যুতিক কাঠামোর সংস্কার চাওয়ায় বিগত সরকারের সময় বিএনপি ও জামায়াতপন্থী এবং বর্তমান সরকারের সময়ে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে চাকরিচ্যূত, সাসপেন্ডসহ অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে।
সর্বশেষ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ২১ মে থেকে ০৫ জুন: ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা ১৬ দিন রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমিতির কর্মীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন।
আন্দোলনের ফলে সরকার ০৫ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং ১৭ জুন দুটি তদন্ত/সংস্কার কমিটি গঠন করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাস্তবায়নের কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এদিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন ও হয়রানি অব্যাহত রয়েছে।