ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের বর্ষপূর্তিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

মিলন বৈদ্য শুভ চট্টগ্রাম

প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন- বাগীশ্বরীর সঙ্গীতালয়ে শিক্ষার্থীরা শুদ্ধ সংগীত চর্চার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক আলোকিত মানুষে রূপান্তরিত হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন সংগীত আমাদের মনুষ্যত্বের প্রভায় প্রদীপ্ত ও নান্দনিকবোধে ঋদ্ধ। সুকুমার বৃত্তি সম্পন্ন উদার মহৎ প্রাণ মানবিক মানুষের পরিণত করে।

তিনি আরো যুক্ত করেন সংগীতের প্রতি সহজজাত অনুরাগের কারণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি “কে জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনবদ্য গান “চল চল চল “আমাদের রণ সংগীতে মর্যাদা দান করেছেন।

এক কথায় সংগীত আমাদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। যেমনটা করেছিল একাত্তরের আগুন ঝরা দিনগুলোতে। সংগীত আমাদের পূর্ণাঙ্গ মানুষের পরিণত করে।

দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সমাপনী দিনে গত ২৪ এপ্রিল বধুবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামস্থ থিয়েটার ইনস্টিটিউট (টিআাইসি) মিলনায়তনে বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ১৯ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন।

বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সভাপতি লায়ন কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: আশরাফুল করিম।

তিনি বলেন- সংগীত মানুষের মাঝে নান্দনিকতা ও স্বপ্নময় অনুভূতির সঞ্চার করে। আপনাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল সংস্কৃতি সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রাখুন। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাচিক শিল্পী অদিতি সাহার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অধ্যক্ষ রিষু তালুকদার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী বর্ষপূর্তি উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক সাংবাদিক যীশু সেন, বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিমন সাহা, সদস্য সচিব প্রিয়তোষ নাথ, ব্যাংকার উৎপল চক্রবর্তী, শিক্ষক পলাশ দে প্রমূখ।

প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য আরো বলেন- সংস্কৃতি ছাড়া পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া যায়না। সংস্কৃতিতে আছে তৃপ্তি।

যিনি গান ধারণ করে হৃদয়ে, তিনি মানুষের জন্য কাজ করে। সংগীত যে ভালোবাসে, সে মানুষকে ভালোবাসে। সব মানুষের কণ্ঠে সুর আসে না, বিধাতা খুব কম মানুষকে সুরের যাদু দিয়ে তৈরি করেন।

যেখানে সংগীত নেই, সেখানে বেঁচে থাকার আনন্দ নেই। সংগীত মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের রজনীকান্ত সেন, অতুল প্রসাদ সেন, পল্লী কবি জসিম উদ্দীন গ্রুপে টিআইসিতে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ছিল সমবেত সংগীত, একক ও দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন।

দুই দিনব্যাপী সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সংগীত শিল্পী রিষু তালুকদার। বাগীশ্বরীর বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধা তালিকায় ভিত্তিতে ক্রেস্ট ও সকল অতিথিমণ্ডলীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের বর্ষপূর্তিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

আপডেট সময় : ০৩:৫০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মিলন বৈদ্য শুভ চট্টগ্রাম

প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন- বাগীশ্বরীর সঙ্গীতালয়ে শিক্ষার্থীরা শুদ্ধ সংগীত চর্চার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক আলোকিত মানুষে রূপান্তরিত হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন সংগীত আমাদের মনুষ্যত্বের প্রভায় প্রদীপ্ত ও নান্দনিকবোধে ঋদ্ধ। সুকুমার বৃত্তি সম্পন্ন উদার মহৎ প্রাণ মানবিক মানুষের পরিণত করে।

তিনি আরো যুক্ত করেন সংগীতের প্রতি সহজজাত অনুরাগের কারণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি “কে জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনবদ্য গান “চল চল চল “আমাদের রণ সংগীতে মর্যাদা দান করেছেন।

এক কথায় সংগীত আমাদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। যেমনটা করেছিল একাত্তরের আগুন ঝরা দিনগুলোতে। সংগীত আমাদের পূর্ণাঙ্গ মানুষের পরিণত করে।

দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সমাপনী দিনে গত ২৪ এপ্রিল বধুবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামস্থ থিয়েটার ইনস্টিটিউট (টিআাইসি) মিলনায়তনে বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ১৯ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন।

বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সভাপতি লায়ন কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: আশরাফুল করিম।

তিনি বলেন- সংগীত মানুষের মাঝে নান্দনিকতা ও স্বপ্নময় অনুভূতির সঞ্চার করে। আপনাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল সংস্কৃতি সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রাখুন। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাচিক শিল্পী অদিতি সাহার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অধ্যক্ষ রিষু তালুকদার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী বর্ষপূর্তি উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক সাংবাদিক যীশু সেন, বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিমন সাহা, সদস্য সচিব প্রিয়তোষ নাথ, ব্যাংকার উৎপল চক্রবর্তী, শিক্ষক পলাশ দে প্রমূখ।

প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য আরো বলেন- সংস্কৃতি ছাড়া পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া যায়না। সংস্কৃতিতে আছে তৃপ্তি।

যিনি গান ধারণ করে হৃদয়ে, তিনি মানুষের জন্য কাজ করে। সংগীত যে ভালোবাসে, সে মানুষকে ভালোবাসে। সব মানুষের কণ্ঠে সুর আসে না, বিধাতা খুব কম মানুষকে সুরের যাদু দিয়ে তৈরি করেন।

যেখানে সংগীত নেই, সেখানে বেঁচে থাকার আনন্দ নেই। সংগীত মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের রজনীকান্ত সেন, অতুল প্রসাদ সেন, পল্লী কবি জসিম উদ্দীন গ্রুপে টিআইসিতে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ছিল সমবেত সংগীত, একক ও দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন।

দুই দিনব্যাপী সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সংগীত শিল্পী রিষু তালুকদার। বাগীশ্বরীর বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধা তালিকায় ভিত্তিতে ক্রেস্ট ও সকল অতিথিমণ্ডলীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।