ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গাংনীতে বিদেশি পিস্তল গুলি ও ম্যাগজিন সহ আটক-১ কালিগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামি গৌরপদ মন্ডলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার কৃষিগুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাকৃবির বিশেষ বাস সার্ভিস এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক

বাকৃবিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দিবসটি
উপলক্ষে ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। খালিপায়ে প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও আবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি বের করা হয়। সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাকৃবি উপাচার্য। এসময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১ টায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়াও মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন কারিকুলাম বিস্তারণ উপপরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা।
শহীদদের স্মরণে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, মহান একুশ আমাদের মুখের ভাষা দিয়েছে, আবেগ দিয়েছে, অহংকার দিয়েছে আর দিয়েছে চারিত্রিক দৃঢ়তা। সেই সেই দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনের পিছনে ছিল এই একুশের চেতনা। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে সেই চেতনা ধারণ করার। আজকে যে শপথ করেছি এই শপথ নিজের রক্তের মধ্যে ধারণ করে দেশ বির্নিমানে যে যেখান থেকে কাজ করছে তাদের সাহায্য করা।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে ভাষা শহীদদের আমরা ভুলে যাইনি। ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের মাঝে নেই। তারা যদি শহীদ না হতেন হয়তো অনেকদিন বেঁচে থাকতেন। তবে ভাষা আন্দোলনে তাদের ত্যাগ আমাদের মাঝে অমর করে দিয়েছে। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে বাংলা ভাষা থাকবে ততদিন বাঙালি জাতি তাদের স্মরণ করবে। কোন ত্যাগী বৃথা যায় না। সকল ত্যাগ মানুষের কাছে কোন না কোন ভাবে মূল্যায়িত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাকৃবিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দিবসটি
উপলক্ষে ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। খালিপায়ে প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও আবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি বের করা হয়। সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাকৃবি উপাচার্য। এসময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১ টায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়াও মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন কারিকুলাম বিস্তারণ উপপরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা।
শহীদদের স্মরণে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, মহান একুশ আমাদের মুখের ভাষা দিয়েছে, আবেগ দিয়েছে, অহংকার দিয়েছে আর দিয়েছে চারিত্রিক দৃঢ়তা। সেই সেই দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনের পিছনে ছিল এই একুশের চেতনা। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে সেই চেতনা ধারণ করার। আজকে যে শপথ করেছি এই শপথ নিজের রক্তের মধ্যে ধারণ করে দেশ বির্নিমানে যে যেখান থেকে কাজ করছে তাদের সাহায্য করা।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে ভাষা শহীদদের আমরা ভুলে যাইনি। ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের মাঝে নেই। তারা যদি শহীদ না হতেন হয়তো অনেকদিন বেঁচে থাকতেন। তবে ভাষা আন্দোলনে তাদের ত্যাগ আমাদের মাঝে অমর করে দিয়েছে। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে বাংলা ভাষা থাকবে ততদিন বাঙালি জাতি তাদের স্মরণ করবে। কোন ত্যাগী বৃথা যায় না। সকল ত্যাগ মানুষের কাছে কোন না কোন ভাবে মূল্যায়িত হয়।