ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদক বিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার-০১ জন

বাকৃবিতে ছাত্রী-শিক্ষক আটকের ঘটনায় নতুন মোড়

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ২৩২ বার পড়া হয়েছে

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর মতে অভিযোগের বিষয়ে দ্বিমত পাওয়া যায়।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠে। সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজী জামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এদিকে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে শফিকুল স্যারের সাথে একজন মেয়েকে দেখেছি। মেয়েটি স্যার থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে ছিল। দুইজন প্রায় আধা ঘন্টা থেকে ওইখান থেকে চলে যায়। আমি তাদের কোন আপত্তিকর অবস্থায় দেখিনি।

শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের সিসিটিভির ফুটেজের তথ্য মতে, সাড়ে সাতটার দিকে আম বাগান থেকে অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের গাড়িকে রোজী জামাল হলের দিকে আসতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ড. শফিকুল ইসলাম সাবু বলেন, আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিলো, আমি তাকে হলগেটে পৌছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা একটু অ্যাবনরমাল টাইপের। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।

জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মেলামেশার বিষয়ে রোজী জামাল হলে প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই ছাত্রী।

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো হারুন-অর-রশিদ জানান, অভিযোগকারী ছাত্রীর কোন অভিযোগপত্র বা স্বীকারক্তি হাতে পাইনি। এছাড়া গতকাল থেকে অভিযোগকারী ছাত্রী কিংবা গণমাধ্যমকর্মী আমার সাথে যোগাযোগও করে নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, এখন পর্যন্ত কোন প্রক্টর কার্যালয় থেকে কোন রিপোর্ট হাতে আসেনি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। এদিকে ভর্তির পর শিক্ষার্থীর একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক হিসেবে আছেন অধ্যাপক শফিকুল ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাকৃবিতে ছাত্রী-শিক্ষক আটকের ঘটনায় নতুন মোড়

আপডেট সময় : ০৮:১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর মতে অভিযোগের বিষয়ে দ্বিমত পাওয়া যায়।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠে। সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজী জামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এদিকে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে শফিকুল স্যারের সাথে একজন মেয়েকে দেখেছি। মেয়েটি স্যার থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে ছিল। দুইজন প্রায় আধা ঘন্টা থেকে ওইখান থেকে চলে যায়। আমি তাদের কোন আপত্তিকর অবস্থায় দেখিনি।

শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের সিসিটিভির ফুটেজের তথ্য মতে, সাড়ে সাতটার দিকে আম বাগান থেকে অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের গাড়িকে রোজী জামাল হলের দিকে আসতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ড. শফিকুল ইসলাম সাবু বলেন, আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিলো, আমি তাকে হলগেটে পৌছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা একটু অ্যাবনরমাল টাইপের। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।

জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মেলামেশার বিষয়ে রোজী জামাল হলে প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই ছাত্রী।

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো হারুন-অর-রশিদ জানান, অভিযোগকারী ছাত্রীর কোন অভিযোগপত্র বা স্বীকারক্তি হাতে পাইনি। এছাড়া গতকাল থেকে অভিযোগকারী ছাত্রী কিংবা গণমাধ্যমকর্মী আমার সাথে যোগাযোগও করে নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, এখন পর্যন্ত কোন প্রক্টর কার্যালয় থেকে কোন রিপোর্ট হাতে আসেনি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। এদিকে ভর্তির পর শিক্ষার্থীর একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক হিসেবে আছেন অধ্যাপক শফিকুল ।