ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

বাঁচানো গেলো না সিএমএইচে চিকিৎসাধীন মাগুরার নির্যাতিত শিশুটিকে

স্টাফ রিপোটার
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : সপ্তাহখানেকেরও বেশি সময় ধরে ঠিকানা ছিল হাসপাতালের বিছানা। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো আমাদের ‘নির্ভয়া’। মাগুরায় নির্যাতনের শিকার সেই ৮ বছরের শিশুটি বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার শিশুটির চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হঠাৎ করে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়। আজ হয় দু’বার। এরমধ্যে আজ দ্বিতীয়বার হওয়া কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রায় ৩০ মিনিট পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। শিশুটির ব্রেন ফাংশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিলো। সবশেষ তৃতীয় দফা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর সে চলে গেলো না ফেরার দেশে।

শিশুটিকে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল। সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত ৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আইএসপিআর ও প্রেস উইং থেকেও শিশুটির জন্য একাধিকবার দোয়া চাওয়া হয়। তবে, সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে মেয়েটি চলে গেলো চিরতরে।

উল্লেখ্য, মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। এরপর গত শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাঁচানো গেলো না সিএমএইচে চিকিৎসাধীন মাগুরার নির্যাতিত শিশুটিকে

আপডেট সময় : ০২:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট : সপ্তাহখানেকেরও বেশি সময় ধরে ঠিকানা ছিল হাসপাতালের বিছানা। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো আমাদের ‘নির্ভয়া’। মাগুরায় নির্যাতনের শিকার সেই ৮ বছরের শিশুটি বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার শিশুটির চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হঠাৎ করে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়। আজ হয় দু’বার। এরমধ্যে আজ দ্বিতীয়বার হওয়া কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রায় ৩০ মিনিট পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। শিশুটির ব্রেন ফাংশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিলো। সবশেষ তৃতীয় দফা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর সে চলে গেলো না ফেরার দেশে।

শিশুটিকে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল। সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত ৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আইএসপিআর ও প্রেস উইং থেকেও শিশুটির জন্য একাধিকবার দোয়া চাওয়া হয়। তবে, সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে মেয়েটি চলে গেলো চিরতরে।

উল্লেখ্য, মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। এরপর গত শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।