বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে দূর্ঘটনা রোধে বরিশাল জেলা প্রশাসনের অভিযান

- আপডেট সময় : ১২:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
জেলা প্রশাসনের নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল কোর্ট অভিযানের অংশ হিসেবে ঈদে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন বরিশাল কর্তৃক বরিশাল জেলার ভাংগা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বরিশাল জেলার গৌরনদী,উজিরপুর,বাবুগঞ্জ, বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় তারা স্পিডোমিটার দিয়ে গাড়ির গতিসীমা পরীক্ষা করেন। দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে মহাসড়কে গতিসীমা মেনে চলতে সতর্ক করা হয়।
এ সময় রুটপারমিট বিহীন গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রভৃতি অপরাধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর বিধান মোতাবেক ১৮ টি মামলায় ২৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন বরিশালের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দেশে সড়ক পথে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত স্থাপন করেছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু।২০২২ সালটি তাই দক্ষিণবঙ্গবাসীর কাছে স্মরণীয় একটি বছর। ঐ বছরে দক্ষিণাঞ্চলের ফরিদপুর,বরিশাল,শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ ২১টি জেলার বাসিন্দাদের প্রাপ্তির ঝুলিতে সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু।পদ্মা সেতুর দ্বার খুলেছে ২০২২ সালের ২৫ জুন। এ সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোট ২১টি জেলাকে সড়কপথে সরাসরি সংযুক্ত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে যানা যায়,পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়েছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ছয় লেনের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পদ্মা সেতু পার হয়ে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গায় পৌঁছানোর পর বরিশাল পর্যন্ত ২৪ ফুট প্রশস্ত ৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তীব্র যানজট ও দুর্ঘটনা এখন প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা।
বরিশালে জেলার গৌরনদী হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মাদারীপুর সীমানার ভুরঘাটা পর্যন্ত মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৩২ কিলোমিটারেই ২৭টি ব্ল্যাক স্পট বা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছেন। দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানগুলো হলো-ভুরঘাটা, ইল্লা, বার্থী, তারাকুপি, কটকস্থল, সাউদের খালপাড়, নীলখোলা, টরকী, গয়নাঘাটা, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড, আশোকাঠী, কাসেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়া, বাটাজোর, বামরাইল, সানুহার, জয়শ্রী, সোনার বাংলা, ইচলাদী, শিকারপুর-দোয়ারিকা টোল প্লাজা, মেজর এমএ জলিল সেতুর ঢাল, নতুনহাট, রহমতপুর ব্রিজের ঢাল, রেইনট্রিতলা ও কাশিপুর ব্র্যাক অফিসের মোড়। এসব স্পটগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ, অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাধারণ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু জায়গায় সতর্কতামূলক চিহ্ন বসানো হচ্ছে।