ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝিনাইদহে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত আগৈলঝাড়ায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও হাত ধোয়া প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন বোন ও দুলাভাই দ্বারা হয়রানি-মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে বেনাপোলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে উচ্ছেদে ভূমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি সাতক্ষীরা পৌরসভায় জলবায়ু সহনশীল পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিউনিটি সংলাপ অনুষ্ঠিত বিএনপি নির্বাচিত হলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে –মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অবৈধভাবে কাজ চললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ইউএনও’র লেমুয়া বাজারে ২০ ফুট প্রশস্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জনগণ

বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২১০ বার পড়া হয়েছে

||বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

বরগুনার তালতলীতে জমিজমার জন্য আপন খালাকে হত্যা করে কানের রিং বিক্রি করে সহযোগী খুনিকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন মালেক (৩৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ।

এ ঘটনায় সকালে মালেককে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘদিন পরে হত্যার রহস্য উন্মোচন হওয়ায় সঠিক বিচারের দাবি পরিবারের।

শনিবার সকালে উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁনকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করা হয়।

ডিবিকে করিম খান জানায়, মালেকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল সাফিয়া বেগমের। সেই জমি দখল করতে আমাকে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন মালেক। পরে সাফিয়া বেগম সন্ধ্যার দিকে তার বাড়ির সামনে আসলে পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতের নিয়ে যাই। সেখানে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে আ. মালেক ও করিম খানের সহায়তায় সাফিয়া বেগমকে হত্যা করে খালে পুঁতে রাখা হয়। পরে আ. মালেক নিহত সাফিয়ার কানের স্বর্ণের রিং বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা দেয় ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও ৫ হাজার টাকা দেয়। বাকী ১৫ হাজার টাকা আর দেয় নাই। আমি যেন ভারতে পালিয়ে যাই।

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. বশির আলম বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া বেগম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আ. মালেক পালিয়ে যাবার সময় আজ সকালে কচুপাত্রা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

আপডেট সময় : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

||বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

বরগুনার তালতলীতে জমিজমার জন্য আপন খালাকে হত্যা করে কানের রিং বিক্রি করে সহযোগী খুনিকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন মালেক (৩৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ।

এ ঘটনায় সকালে মালেককে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘদিন পরে হত্যার রহস্য উন্মোচন হওয়ায় সঠিক বিচারের দাবি পরিবারের।

শনিবার সকালে উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁনকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করা হয়।

ডিবিকে করিম খান জানায়, মালেকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল সাফিয়া বেগমের। সেই জমি দখল করতে আমাকে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন মালেক। পরে সাফিয়া বেগম সন্ধ্যার দিকে তার বাড়ির সামনে আসলে পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতের নিয়ে যাই। সেখানে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে আ. মালেক ও করিম খানের সহায়তায় সাফিয়া বেগমকে হত্যা করে খালে পুঁতে রাখা হয়। পরে আ. মালেক নিহত সাফিয়ার কানের স্বর্ণের রিং বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা দেয় ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও ৫ হাজার টাকা দেয়। বাকী ১৫ হাজার টাকা আর দেয় নাই। আমি যেন ভারতে পালিয়ে যাই।

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. বশির আলম বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া বেগম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আ. মালেক পালিয়ে যাবার সময় আজ সকালে কচুপাত্রা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।