বকশীগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন: ব্রাইট স্কুলের পরিচালক ইসমাইল হোসেন সিরাজী

- আপডেট সময় : ১১:৫২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

মো: শিহাব মাহমুদ,জামালপুর বকশিগঞ্জ প্রতিনিধি:সম্প্রতি জামালপুরের বকশীগঞ্জের বাট্টাজোর জিন্নাহ বাজারে
অবস্থিত ব্রাইট স্কুলের পরিচালক কর্তৃক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করানোর ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নৈতিকতা ও শিশু অধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে এই ঘটনাকে দেখছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন একাডেমিক নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে ব্রাইট স্কুলটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের প্রতিবাদে স্কুলের পরিচালক ইসমাইল হোসেন সিরাজী কোমলমতি শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করান। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং গভীর উদ্বেগের বিষয়, কারণ শিশুরা রাজনীতি বা জটিল সামাজিক প্রতিবাদের অর্থ বোঝে না। এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবহার করা হলে তা তাদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের জন্য নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং তাদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে শিক্ষিত করে তোলা। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ পূরণের জন্য শিশুদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ এবং দেশের শিশু অধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শিশুদের অধিকারের মধ্যে রয়েছে তাদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য নিকটবর্তী অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম দুই কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। কিন্তু ব্রাইট স্কুলটি নগর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাত্র ১৫০ গজের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল, যা এই নিয়মের লঙ্ঘন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, স্কুলটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপ স্থানীয় শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। তবে শিশুদের এভাবে ব্যবহার করার বিষয়টি সমাজে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।