ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কোয়েপাড়ায় সর্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত জাতীয় রক্তদাতা দিবসে ফেনীর সেরা রক্তদাতা সংগঠক হিসেবে নুর নবীকে সম্মাননা অসহায় এক ভাইয়ের জন্য ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার সহায়তার আবেদন জাতীয় পার্টির কাধে ভর দিয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে আসতে চায় -আলতাফ হোসেন চৌধুরী রাণীশংকৈলে ভাংবাড়ী ফুটকিবাড়ী বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নির্মল পরিবেশে পাঠদান শ্যামনগরে প্যাথলজী গুলোতে অভিযান ২ টিতে জরিমানা, ১ টি বন্ধ শাল্লায় মরণফাঁদে চাকুয়া-মিলনবাজার রাস্তা : প্রায় ৩ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত  ঠাকুরগায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু সাবেক এমপি ফজলে করিমের সহযোগী হিসাবে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব করেছেন কাজী বশর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে চরম বিপদে, সহযোগিতা কামনা

ফরিদপুরে “মাথা ফাটিয়ে” যুবককে পুলিশে দিল আ’লীগ নেতার ছেলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুর সদরে তরুণীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মোহাম্মদ তালহা নামে এক যুবককে মেরে মাথা ফাটানোর পর পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার চর কমলাপুর মহল্লা এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে আতশবাজি পুড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে উল্লাস করছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ইশতিয়াকের ছেলে শাহ মোহাম্মদ আফরাহিম আদর (১৪)। এ সময় শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত এনায়েতুল্লাহর ছেলে তালহা (২১) প্রবাস থেকে আসা বোনমা ও বোনের এক বান্ধবীকে নিয়ে নোহা মাইক্রোবাসে করে রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে ফুচকা খেতে যান।

মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে থাকলে আদরকে আতশবাজি পোড়াতে নিষেধ করেন তালহা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আদরকে চড়থাপ্পড় দেন তালহা। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন করে একদল যুবককে ডেকে এনে আদর বেদম মারধর করে তালহাকে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। নিজেকে রক্ষায় তালহা মাইক্রোবাস থেকে একটি খেলনা পিস্তল বের করে আদরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আদরের সহযোগীরা মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা দু’জনকেই উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক হাসপাতালে হাজির হন। ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান ইশতিয়াক। আর আহত তালহাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে তালহার বোন ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে যারা মারধর করেছে, পুলিশ তাদের না ধরে তালহাকেই আটক করে। আমরা খুবই শঙ্কিত। মারধরকারীরা প্রভাবশালী। আইনি লড়াইয়ে তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। এ জন্য আমাদের অভিভাবকরা মামলা করতে নিষেধ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াককে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সালাহউদ্দিন জানান, তালহার বিরুদ্ধে খেলনা পিস্তলের মাধ্যমে ভয় দেখানোর ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাছাড়া তালহাকে মারধর, মাইক্রোবাসে ভাঙচুর ও উত্ত্যক্তের ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ফরিদপুরে “মাথা ফাটিয়ে” যুবককে পুলিশে দিল আ’লীগ নেতার ছেলে

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুর সদরে তরুণীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মোহাম্মদ তালহা নামে এক যুবককে মেরে মাথা ফাটানোর পর পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার চর কমলাপুর মহল্লা এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে আতশবাজি পুড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে উল্লাস করছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ইশতিয়াকের ছেলে শাহ মোহাম্মদ আফরাহিম আদর (১৪)। এ সময় শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত এনায়েতুল্লাহর ছেলে তালহা (২১) প্রবাস থেকে আসা বোনমা ও বোনের এক বান্ধবীকে নিয়ে নোহা মাইক্রোবাসে করে রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে ফুচকা খেতে যান।

মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে থাকলে আদরকে আতশবাজি পোড়াতে নিষেধ করেন তালহা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আদরকে চড়থাপ্পড় দেন তালহা। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন করে একদল যুবককে ডেকে এনে আদর বেদম মারধর করে তালহাকে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। নিজেকে রক্ষায় তালহা মাইক্রোবাস থেকে একটি খেলনা পিস্তল বের করে আদরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আদরের সহযোগীরা মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা দু’জনকেই উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক হাসপাতালে হাজির হন। ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান ইশতিয়াক। আর আহত তালহাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে তালহার বোন ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে যারা মারধর করেছে, পুলিশ তাদের না ধরে তালহাকেই আটক করে। আমরা খুবই শঙ্কিত। মারধরকারীরা প্রভাবশালী। আইনি লড়াইয়ে তাদের সঙ্গে আমরা পারব না। এ জন্য আমাদের অভিভাবকরা মামলা করতে নিষেধ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াককে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সালাহউদ্দিন জানান, তালহার বিরুদ্ধে খেলনা পিস্তলের মাধ্যমে ভয় দেখানোর ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাছাড়া তালহাকে মারধর, মাইক্রোবাসে ভাঙচুর ও উত্ত্যক্তের ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।