ফরিদপুরের “যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে” গাছে বেঁধে মারধর,পা ভেঙে দিল বড় ভাই

- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হোসেন প্রামাণিক (৫৩) নামে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বড় ভাইদের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে থানার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর পূর্ব মল্লিকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঠেকাতে গেলে হোসেন প্রামাণিকের স্ত্রী নাজমা বেগম (৪৫), মেয়ে ফাতেমা (২২) ও নুপুরকে (২০) মারধর করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন হোসেন প্রামাণিক। তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
হোসেন প্রামাণিকের অভিযোগ, সোমবার সকালে তিনি বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে তাকে দেখতে পেয়ে বড় ভাই আব্দুল কাদের প্রামাণিক, আব্দুল লতিফ, আজিজুল ইসলাম, মাইনুদ্দিন, মুরশিদসহ সাতজন তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। গলায় গামছা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে লিচু গাছে বেঁধে মারধর করেন। লতিফ হাঁতুড়ি দিয়ে পেটান ও প্লাস দিয়ে শরীর থেঁতলে দেন। কাদের, আজিজুল ও মুরশিদ বাঁশ দিয়ে বেদম মারধর করেন। এতে বাঁ পা ভেঙে গেছে।
হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, প্রতিবেশীদের জানালেও তারা রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। পরে মেয়েদের নিয়ে স্বামীকে উদ্ধারে গেলে তাঁকেও বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। এর পর ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওয়াহেদ প্রামাণিক মৃত্যুর আগে তাঁর ৪ একর ৩৬ শতাংশ জমি বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) ও খাজা মাইনুদ্দিন চিশতির (রহ.) নামে ওয়াক্ফ করে যান। ওই জমির মোতাওয়াল্লি ছিলেন তাঁর বড় ছেলে আব্দুল কাদের ও মেজো ছেলে মাইনুদ্দিন প্রামাণিক। এতদিন সম্পত্তির ফসল, ফলফলাদি তারা ভোগ করে আসছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের আগস্টে ওয়াক্ফ এস্টেট কর্তৃপক্ষ হোসেন প্রামাণিককে মোতাওয়াল্লি নিযুক্ত করে। এর পর থেকেই তাঁর সঙ্গে ভাইদের বিরোধ চরমে পৌঁছে।
বছরখানেক আগেও হোসেন প্রামাণিককে কুপিয়ে ভাইয়েরা জখম করেন। ওই ঘটনায় মামলা চলমান। এরই জেরে গত ২০ ও ২৭ মার্চ রাতে দুই দফা হোসেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলা করলে পুলিশ ভাইদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই সুজন বিশ্বাস জানান, জরুরি নম্বরে কল পেয়ে হোসেন প্রামাণিক ও তার স্ত্রী-সন্তানদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের পাওয়া যায়নি। বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে হোসেন প্রামাণিককে মারধর করেছে বলে জেনেছি। নতুন করে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।