ফটিকছড়ি বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণে

- আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ৭১ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ:-
পবিত্র ১১ রমজান উত্তর জেলা ও ফটিকছড়ির নিবেদিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত ৯০ দশকের বি এন পি এর একনিষ্ঠ, নির্লোভ দলের নিবেদিত প্রাণ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের আজ ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১০ সালের ১১ রমজান এই দিনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সন্মানিত সদস্য, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সন্মানিত সদস্য ও বক্তপুর ইউনিয়ন বি এন পির দীর্ঘদিনের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী মরহুম মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর মৃত্যু বার্ষিকী। ৯০ দশকে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ ফটিকছড়িতে বি এন পির রাজনীতি করা এক প্রকারের দুঃসাধ্য ছিল। সেই সময়ে দক্ষিণ ফটিকছড়িতে আওয়ামী রাজনীতির একক আধিপত্য বিস্তার থাকলেও তিনি নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে দক্ষিণ অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ান ও রাজনীতির প্রচার প্রসার করেন। অনেক মৃত্যু হুমকি ধমকি,মামলার ভয় ভীতি ওনাকে ওনার নীতি হতে টলাতে পারেন নি। তিনি শহীদ জিয়ার আর্দশের সৈনিক হলেও এলাকার সকলের সাথে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়। মরহুম সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর সাথে ওনার খুব ঘনিষ্ঠতা লোক মুখে শোনা যায়। নাম না বলার শর্তে একজন আওয়ামী নেতা বলেন, মন্নান ভাই তার দল ক্ষমতায় থাকতে আমাদের খুব কাছ থেকে আগলে রাখতেন। কোন দিন আমাদের সাথে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখান নি। প্রশাসন হতে আমাদের নিরাপদে রাখতেন। তখনকার সময়ে ওনাকে আমাদের দলের লোকেরা অনেক নির্যাতন করলেও তিনি তা মনে রাখেননি। ক্ষমার রাজনীতি করে তিনি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।যা বর্তমানে খুবই বিরল। এই ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা বি এন পির আহবায়ক কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ফটিকছড়ির দক্ষিণ অঞ্চলে মান্নান ভাই ছিলেন জিয়ার একজন আদর্শের সৈনিক। তিনি স্রোতের বিপরীতে রাজনীতি করে গেছেন। বি এন পির জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি মরহুম শহীদ সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ও আমার নির্বাচনে জান বাজী রেখে দলীয় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে ছিলেন। ফটিকছড়ির বি এন পির আহবায়ক হিসেবে বলি ওনার মত একজন আর্দশের জিয়ার সৈনিক বর্তমানে খুবই দরকার বলে মনে করি। আল্লাহ মান্নান ভাই কে বেহেশত নসীব করুক এই দোয়া করি। এছাড়া আরেক উত্তর চট্টলার বি এন পি নেতা সরোয়ার আলমগীর বলেন, মরহুম মান্নান ভাই আমার খুব কাছের একজন মানুষ ছিলেন। দলীয় যে কোনো দূর্যোগের সময় তিনি সবার আগে থাকতেন। যে সময় ফটিকছড়ির দক্ষিণ অঞ্চলে বি এন পির রাজনীতি করা কঠিন ছিল সেই সময় তিনি রাজপথে লড়ে গেছেন। দলের এই মুহুর্তে মান্নান ভাইদের অভাব পূরণ করার মত না। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মকাম দান করুক আমিন। বিভিন্ন স্তরের দলের নেতারা বলেন ওনি ছিলেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এই মানুষটির অভাব কখনওই পূরণ হওয়ার নয়। প্রতিকূল পরিবেশে নিজের জীবনবাজি রেখেছেন কিন্তু অন্যায় অবিচারের কাছে কখনো আপোষ করেননি।
এই ব্যাপারে বখতপুর ছাত্রদল সভাপতি ওমর তানভির বলেন তিনি ইস্পাত কঠিন মনোবল এলজন মানুষ। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধ নিয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে যেতেন, প্রবল শক্তিশালী প্রতিপক্ষের অন্যায় আবদার, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার, তিনি কেন্দ্র পাহারা দিতে গিয়ে বারবার শারিরীক নির্যাতনের মুখোমুখিও হতে হয়েছেন। তারপরও কবু মাথা নত করতেননা। আরো বলেন, আমরা উনার ত্যাগের কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি তাই আমি কখনও উনার মৃত্যুর দিনটা ভুলি না। যা কখনও ভূলার মতো নয় আজকের এইদিনে মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল মান্নানের জন্য রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করছি। বর্তমানে তার সকল ছেলেরা প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এক ছেলে প্রবাসে প্রতিষ্ঠিত। আরেক ছেলে আগ্রাবাদ একটি প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তার ছোট মেয়ে ধর্মপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে মহিলা মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।