ফটিকছড়িতে ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান

- আপডেট সময় : ১১:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

আজ ১০/০৫/২০২৪ তারিখ দীর্ঘ ৭ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরের ৭নং ওয়ার্ডের চন্দ্রাখিল, বড়ুয়াপাড়ায় জেলা এনএসআই, চট্টগ্রামের তথ্যের ভিত্তিতে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত পণ্যের মোড়কে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার করে পণ্যের বাজারজাতকরণ, উৎপাদন ও বিপননের অপরাধে “হাজী এজাহার সোপ এন্ড সন্স” সাবান কারখানায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা কারে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইস্টিটিউশন আইন, ২০১৮ বিধি মোতাবেক কারখানা বন্ধ, কারখানার ও কারখানা পাশ্ববর্তী একটি গোডাউন হতে ১২০০ বস্তা সাবনসহ বিপুল পরিমান খোলা সাবান, সাবানের খালি মোড়ক, প্যাকেটিং মেশিনসহ ৩৫০টি ক্যামিকেলের ড্রাম জব্দ এবং কারখানা মালিক আমান উল্লাহ, পিতা-হাজী এজাহার মিয়া, সাং- পূর্ব ভূজপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রামকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ০১ লক্ষ টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে আরও ০৭ দিনে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে জেলা এনএসআই ও বিএসটিআই কার্যালয়ের প্রতিনিধি এবং ভূজপুর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
২। অভিযানে কারখানায় জব্দকৃত মালামালের বিবরণঃ
ক। সিলিকেট পূর্ব ড্রাম – ৫৪টি (প্রতিটি ড্রামে ৩৫০ কেজি সিলিকেট ধারণ করে)।
খ। পাম স্টিয়ারেট ড্রাম – ৩০টি (প্রতিটি ড্রাম ১৮৬ কেজি ধারণ করে)।
গ। সোপ অয়েল ড্রাম – প্রায় ২৩০টি (প্রতিটি ড্রাম ১৮৬ কেজি ধারণ করে)।
ঘ। কোকোনাট অয়েল ড্রাম – প্রায় ৩৫টি (প্রতিটি ড্রাম ১৮৬ কেজি ধারণ করে)।
ঙ। বর্জ্য ভর্তি ড্রাম (অব্যবহারযোগ্য)- ৩৫টি।
চ। খালি ড্রাম সংখ্যা- ৫০টি (প্রায়)।
ছ। কষ্টিক সোডা ৫০ কেজির বস্তা- ৬৯টি।
জ। সুগন্ধি জার (২৫ কেজি করে)- ৬টি
ঝ। ফোম (ফেনা) পাউডার (১০ কেজি করে)- ৪ বস্তা
ঞ। ২৫০ কেজি পর্যন্ত পরিমাপক পাল্লা- ১টি
ট। ২০ কেজি পর্যন্ত পরিমাপক পাল্লা- ১টি
ঠ। ঝালাই (প্যাকেট/ বস্তা সেলাই) মেশিন- ১টি
ড। সাবান বানানোর ডাইস (৭টি ক্যারেট পূর্ণ)- ১৫০০ পিস।
ঢ। খালি প্লাস্টিকের বস্তা – ১৫০ টি।
ণ। খালি মোড়কপূর্ণ বস্তা-৩টি (প্রতি বস্তায় ২০ কেজি মোড়ক ধারণ করে)।
ত। খোলা সাবান (২৫০ গ্রাম ওজনের) – প্রায় ২০০০ পিস।
থ। খোলা সাবান (৫০০ গ্রাম ওজনের) – প্রায় ৩০০ পিস।
দ। ১০ কেজি ওজনের সাবান ভর্তি বস্তার সংখ্যা- প্রায় ৫০টি।
ধ। ২০ কেজি ওজনের সাবান ভর্তি বস্তার সংখ্যা- প্রায় ৪৩ টি।
ন। ৩০ কেজি ওজনের সাবান ভর্তি বস্তার সংখ্যা- প্রায় ৩১টি।
উল্লেখ্য, কারখানা থেকে ৫০০ মিটার দূরে কারখানার একটি গোডাউন হতে জব্দকৃত মালামালের বিবরণ –
প। ২০ কেজি ওজনের সাবান ভর্তি বস্তার সংখ্যা- আনুমানিক ৯০০টি।
ফ। ৩০ কেজি ওজনের সাবান ভর্তি বস্তার সংখ্যা- আনুমানিক ২২০টি।
ব। খালি মোড়ক পূর্ণ বস্তা- প্রায় ৩০টি।
ভ। খালি বালতির সংখ্যা – প্রায় ৩২০টি।
ম। বস্তার সেলাই মেশিন- ১টি।
ক। বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি বিএসটিআইয়ের ভূয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এলাকায়) বাজারজাত করে থাকে।
খ। কারখানার ও কারখানার পাশ্ববর্তী গোডাউন বন্ধ ঘোষণাসহ সকল মালামাল অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জব্দ করার নির্দেশ দেন এবং ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিএসটিআইয়ের জিম্মায় জব্দ কৃত মালামাল রক্ষণাবেক্ষণ ও ভূজপুর থানা পুলিশকে জব্দকৃত মালামালের নিরাপত্তা প্রদানের লিখিত আদেশ প্রদান করেন।
গ। কারখানা হতে বিভিন্ন রকমের ১২টি বল সাবান সিলগালে করে বিএসটিআই প্রতিনিধি সংগ্রহ করেন এবং পরীক্ষাগারে সাবানের মান যাচাই-বাছাই শেষে বিএসটিআই, মহাপরিচালকের নির্দেশে এ বন্ধ কারখানা ও গোডাউন এবং জব্দকৃত মালামালের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে বিএসটিআই, প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়।
ঘ। বর্তমানে কারখানা ও কারখানা পাশ্ববর্তী গোডাউনে তালা বদ্ধ করে ভূজপুর থানা পুলিশের হেফাজতে চাবি প্রদান করা হয়েছে।
ঙ। কারখানা মালিক নগদ ০১ লক্ষ টাকা জরিমানা পরিশোধ করে যা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে বলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সূত্রে জানা যায়।
চ। অভিযান পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন প্রেস রিলিজ উল্লেখ করেন কারখানা ও গোডাউনে সংরক্ষিত আনুমানিক ২৭,৬০০ কেজি বল সাবান জব্দ করা হয় (যার আনুমানিক মূল্য ৩৩ লক্ষ টাকা)।
ছ। বর্ণিত সাবান কারখানার বর্জ্য পার্শ্ববর্তী কৃষিজমি ও পুকুরের পানিতে মিশে পরিবেশের ও জীব বৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধনসহ কৃষি জমির ঊর্বরতা হ্রাস করছে মর্মে প্রতীয়মান।