ফটিকছড়িতে নবীন প্রবীণের লড়াইয়ে ত্যাগী নাজিম মুহুরীর জয়

- আপডেট সময় : ১২:৪০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ
চট্টগ্রামের বৃহত্তর উপজেলা ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারসকে হারিয়ে নাজিম উদ্দীন মুহুরী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
ফটিকছড়ি উপজেলাতে সর্বমোট কেন্দ্র ছিল ১৪২ টি।
নাজিম উদ্দীন মুহুরী (মোটরবাইক প্রতীক) পেয়েছেন ৬৬ হাজার ১৯১ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বখতিয়ার সাঈদ ইরান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩৭১ ভোট।
১৪ হাজার ৮১২ ভোট বেশি পেয়ে নাজিম উদ্দীন মুহুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের গদিতে বসার সৌভাগ্য লাভ করেন। এককথায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া ফটিকছড়িতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ জমিস উদ্দীন ( টিউবওয়েল) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের পরীক্ষীত নেত্রী বখতপুরের মুক্তিযোদ্ধা কন্যা শারমিন আক্তার নুপুর ( ফুটবল)।
সাধারণ মানুষ বলেন, উপজেলা পরিষদে সুন্দর একটি সেরা প্যানেল নির্বাচিত হয়েছে। সবাই ভলো এবং স্ক্যান্ডাল বিহীন মানুষ। আশা করছে উন্নয়ন হবে। সেবা সাধারণ জনগনের দাঁড় গোড়ায় পৌঁছে যাবে।
নির্বাচন চলা কালীন ফটিকছড়ি দুয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রশাসনের নজরদারি ছিল দেখার মত। ম্যান টু ম্যান স্টিক নিরাপত্তা।
২৬ জন মাজিস্ট্রেট ও ৫ জুড়িশিয়েল মাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন। নির্বাচন কর্মকর্তারা ছিল সম্পূর্ণ হার্ডলাইনে।
সুয়াবিল ইউনিয়নে পুলিশ এ্যাকশনে ছিল বলে জানা যায়। ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে হয়ত সমর্থকদের সাথে কিছু একটা হয়েছে যার কারণে পুলিশ কঠোর হয়।
২১মে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। সকালের দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে তেমন একটা ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। ফটিকছড়ি ডিগ্রি কলেজ, রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফটিকছড়ি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল, মাইজভাণ্ডার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কিপায়াতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারুয়ালছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাঁতমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এগণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ক্যায়াং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধর্মপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সহ বেশ কটি কেন্দ্র ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। ফাঁকা পাওয়া গেছে অনেক কেন্দ্র। মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারে নগন্য।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও দুপুরের পর বিভিন্ন কেন্দ্র একেবারেই ফাঁকা দেখা যায়। শুধু কর্মী সমর্থক ছাড়া সাধারণ মানুষ বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেনি। বিকাল ৪.৩০ মি এর পর হতে ফলাফল আসতে থাকে। প্রথম দক্ষিণ ফটিকছড়ি ফলাফলে আনারস কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আস্তে আস্তে পেক্ষাপট ভিন্ন হতে শুরু হয়। হিসাব নিকাশ আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে থাকে এবং সাথে সাথে মুহুরী সমর্থক রা উল্লাসের দিকে আগাতে থাকে।জড়ো হতে থাকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে। উল্লাসে উল্লাসে মেতে ওঠে কর্মী সমর্থক রা। রাত ১০ টার পর চুড়ায় ফলাফল ঘোষণা করা হতে থাকে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহুরী উপজেলাতেই অবস্থান করতেছিল। কর্মী সমর্থকদের সাথে তিনি উল্লাসে মেতে উঠতেছিলেন।
উভয় দলের কর্মী সমর্থকরা সহবস্থানে রয়েছে এবং নির্বাচন পরবর্তী কোবো ঘটনার খরব পাওয়া যায়নি।