ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ৯দিনের ছুটি শেষে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস দেবহাটা বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হেলাল উদ্দিন ও সাদিয়া অনৈতিক অবস্থায় জনগণের হাতে আটক স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে জামাতের আমির

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃইয়াছিন আরাফাত,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-
চট্টগ্রামে বোয়ালখালীতে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কিছু লোক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে চাঁদাবাজি, দখলদারি, লুটতরাজ শুরু করলো। আমরা নিন্দা জানাই, ঘৃণা করি। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যা করলো, পট পরিবর্তনের সাথে সাথে যারা একই কাজ করেছে তারা আওয়ামী লীগের মতোই। আমরা এদেরকে ভিন্নভাবে দেখি না। আমরা অনুরোধ করবো, এগুলো বন্ধ করেন। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয় এই স্বাধীনতা পেয়েছি, তা কলঙ্কিত করবেন না। যদি করেন জনগণই আপনাদের পাওনা মিটিয়ে দেবে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যার মাধ্যমে খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। সাড়ে ১৫ বছর বাংলার মসনদে ছিল। বাংলার জনগণ ঘৃণা করে ভোট দেয়নি। ২০১৪ সালে ভোটবর্জন, ১৮ সালে প্রত্যাখান এবং ২০২৪ সালে প্রতিরোধ করেছে। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোন দয়ামায়া ছিল না। তিনি বলেন, তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি, শেষ পর্যন্ত ছাত্র তরুণ যুবকদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের তোড়ে তারা ভেসে গেছে। আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, আমাদের কলিজার টুকরো নেতাকর্মীদের যুদ্ধাপরাধী বলে খুন করেছে। আল্লাহ তায়ালা বিচার আমাদের চোখের সামনে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের কোন দায়িত্বশীল দেশ থেকে পালাননি। আত্মহত্যা করা হারাম, তার চাইতেও জঘন্য হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া।সংক্ষিপ্ত সভায় তিনি ছাত্র আন্দোলনে বোয়ালখালীর শহিদ মো. ওমরের পিতা নুরুল আবছারকে জড়িয়ে ধরে সমবেদনা জানান। সকল শহীদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা আমির ডা. খোরশেদ, নায়েবে আমির ডা. নাছের, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম উদ্দিন ইয়াছিন, জামায়াত নেতা সাইদুল আলম, রফিকুল ইসলাম খসরু, মো. নাজিম উদ্দিন, উপজেলা শিবির সভাপতি মো. ওয়াহিদুর রহমান অয়ন, মো. পারভেজ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে জামাতের আমির

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

মোঃইয়াছিন আরাফাত,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-
চট্টগ্রামে বোয়ালখালীতে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কিছু লোক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে চাঁদাবাজি, দখলদারি, লুটতরাজ শুরু করলো। আমরা নিন্দা জানাই, ঘৃণা করি। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যা করলো, পট পরিবর্তনের সাথে সাথে যারা একই কাজ করেছে তারা আওয়ামী লীগের মতোই। আমরা এদেরকে ভিন্নভাবে দেখি না। আমরা অনুরোধ করবো, এগুলো বন্ধ করেন। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয় এই স্বাধীনতা পেয়েছি, তা কলঙ্কিত করবেন না। যদি করেন জনগণই আপনাদের পাওনা মিটিয়ে দেবে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যার মাধ্যমে খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। সাড়ে ১৫ বছর বাংলার মসনদে ছিল। বাংলার জনগণ ঘৃণা করে ভোট দেয়নি। ২০১৪ সালে ভোটবর্জন, ১৮ সালে প্রত্যাখান এবং ২০২৪ সালে প্রতিরোধ করেছে। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোন দয়ামায়া ছিল না। তিনি বলেন, তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি, শেষ পর্যন্ত ছাত্র তরুণ যুবকদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের তোড়ে তারা ভেসে গেছে। আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, আমাদের কলিজার টুকরো নেতাকর্মীদের যুদ্ধাপরাধী বলে খুন করেছে। আল্লাহ তায়ালা বিচার আমাদের চোখের সামনে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের কোন দায়িত্বশীল দেশ থেকে পালাননি। আত্মহত্যা করা হারাম, তার চাইতেও জঘন্য হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া।সংক্ষিপ্ত সভায় তিনি ছাত্র আন্দোলনে বোয়ালখালীর শহিদ মো. ওমরের পিতা নুরুল আবছারকে জড়িয়ে ধরে সমবেদনা জানান। সকল শহীদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা আমির ডা. খোরশেদ, নায়েবে আমির ডা. নাছের, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম উদ্দিন ইয়াছিন, জামায়াত নেতা সাইদুল আলম, রফিকুল ইসলাম খসরু, মো. নাজিম উদ্দিন, উপজেলা শিবির সভাপতি মো. ওয়াহিদুর রহমান অয়ন, মো. পারভেজ প্রমুখ।