পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বাণিজ্য: কালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিকাশ নাম্বারে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন:সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ প্রদানের নামে চলছে ঘুষ বাণিজ্য—এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে থানার কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ভুক্তভোগী ও বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন জমা পড়ে থানায়। এসব আবেদনের পেছনে চলছে টাকার খেলা।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করা হয়। টাকা দিলে সহজেই ক্লিয়ারেন্স মেলে, অন্যথায় আবেদনকারীদের জটিল প্রক্রিয়ার ভেতর ফেলে হয়রানি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, টাকা দিলেই কোনো তদন্ত ছাড়াই ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়। আর টাকা না দিলে বাড়িতে তদন্ত পাঠানো হয় এবং নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
শুধু তাই নয়, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান স্থানীয় কয়েকটি কম্পিউটার দোকানদারের সঙ্গে সমঝোতা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে আসা সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে এই অনিয়মের শিকার হচ্ছেন।
রেমিট্যান্সযোদ্ধা পরিচয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন,
“আমরা যদি প্রকাশ্যে অভিযোগ করি, তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে আরও সমস্যায় পড়তে হতো। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়েছি। তবে মাহমুদুল হাসানের ব্যবহৃত বিকাশ নাম্বারের লেনদেন খতিয়ে দেখলে সত্য বের হয়ে আসবে।”
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়েই দীর্ঘদিন ধরে এ দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে, কালিগঞ্জ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,
“আমি সদ্য যোগ দিয়েছি। অভিযোগগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদে ঘুষ বাণিজ্যের এ ধরনের অনিয়ম শুধু সাধারণ মানুষকেই নয়, দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অভিযোগগুলোর স্বচ্ছ তদন্ত হলে এ দুর্নীতির আসল চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠবে।