ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাউজানে বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি উপজেলা সংসদ গঠনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত দক্ষিণ রাউজানের নোয়াপাড়ায় ক্যাফে কাশ্মীরের শুভ উদ্বোধন যশোরে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নারীর আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে ফেললেন যুবক, অবশেষে ধরা রাজাপুরে এনসিপির উঠান বৈঠক মঠবাড়ীয়া উপজেলার বিএনপিতে ফ্যাসিষ্ট দোসরদের পদ পদবী পাওয়ার কারনে ঝুকি পূর্ন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ লা সেপ্টেম্বর খুলছে প্রবেশের দ্বার রাণীশংকৈলে আদালতে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনাব তারেক রহমান ঠাকুরগায়ে গন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার দীর্ঘ ২৩ বছর পরে আজিজ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

পুরুষদের আত্মহত্যার পেছনে দায়ী চাকরিজীবী নারীরা

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
দিন দিন বেড়েই চলছে পুরুষদের আত্মহননের হার। নাগরিকদের মানসিক সুরক্ষা দিতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। এর মধ্যেই বিতর্কিত এক মন্তব্য করে বসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সিটি কাউন্সিলর। সিটি কাউন্সিলর জানান, পুরুষদের আত্মহত্যার জন্য দায়ী নারীরা।

শুধু তাই নয় নারীর চাকরি ও পুরুষের বিবাহ নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন ওই কাউন্সিলর। সিটি কাউন্সিলর জানান, সমাজে নারীদের আধিপত্যের কারণেই তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা।

নারীদের নিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সিটি কাউন্সিলর কিম কি-ডাক। তিনি জানান, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরুষের জন্য চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এ কারণে বহু পুরুষ বিয়ে করার জন্য উপযুক্ত পাত্রী পাচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

কিম কি-ডাক জানান, তার দেশে ক্রমেই নারী আধিপত্যবাদী সমাজ তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি পুরুষদের মধ্যে আত্মহননের হার বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাউন্সিলর কিম সিউলের হান নদীর সেতুতে আত্মহত্যাচেষ্টার তথ্য বিশ্লেষণ করার সময় এমন বিতর্কিত মূল্যায়ন করেন। কিমের এমন মন্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন মহলে।

বিশ্বে ধনী দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াতে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। এমনকি দেশটিতে লিঙ্গ সমতাও সবেচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এমন তথ্য দেয়া হয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যশ বিবিসির একটি প্রতিবেদনে।

সিটি কাউন্সিলে দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালে হান নদীর সেতু থেকে লাফ দিয়ে ৪৩০টি আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৫টিতে। এ সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের হার ৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ শতাংশে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞরা এ প্রতিবেদনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫০ বছরের কমবয়সী পুরুষ প্রাণ হারানোর প্রধান কারণ আত্মহত্যা। সিউলে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেড়ে যাওয়ার পরও কাউন্সিলর কিমের এমন মন্তব্যকে অযাচিত ও অসতর্কতা বলে মন্তব্য করেন সিউলের ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্থাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক সং-ইন-হা।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন বিভিন্ন পূর্ণকালীন চাকরিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। এমনকি নারীরা সেখানে পুরুষের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম বেতন পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পুরুষদের আত্মহত্যার পেছনে দায়ী চাকরিজীবী নারীরা

আপডেট সময় : ০৪:২৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
দিন দিন বেড়েই চলছে পুরুষদের আত্মহননের হার। নাগরিকদের মানসিক সুরক্ষা দিতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। এর মধ্যেই বিতর্কিত এক মন্তব্য করে বসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সিটি কাউন্সিলর। সিটি কাউন্সিলর জানান, পুরুষদের আত্মহত্যার জন্য দায়ী নারীরা।

শুধু তাই নয় নারীর চাকরি ও পুরুষের বিবাহ নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন ওই কাউন্সিলর। সিটি কাউন্সিলর জানান, সমাজে নারীদের আধিপত্যের কারণেই তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা।

নারীদের নিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সিটি কাউন্সিলর কিম কি-ডাক। তিনি জানান, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরুষের জন্য চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এ কারণে বহু পুরুষ বিয়ে করার জন্য উপযুক্ত পাত্রী পাচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

কিম কি-ডাক জানান, তার দেশে ক্রমেই নারী আধিপত্যবাদী সমাজ তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি পুরুষদের মধ্যে আত্মহননের হার বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাউন্সিলর কিম সিউলের হান নদীর সেতুতে আত্মহত্যাচেষ্টার তথ্য বিশ্লেষণ করার সময় এমন বিতর্কিত মূল্যায়ন করেন। কিমের এমন মন্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন মহলে।

বিশ্বে ধনী দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াতে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। এমনকি দেশটিতে লিঙ্গ সমতাও সবেচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এমন তথ্য দেয়া হয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যশ বিবিসির একটি প্রতিবেদনে।

সিটি কাউন্সিলে দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালে হান নদীর সেতু থেকে লাফ দিয়ে ৪৩০টি আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৫টিতে। এ সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের হার ৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ শতাংশে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞরা এ প্রতিবেদনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫০ বছরের কমবয়সী পুরুষ প্রাণ হারানোর প্রধান কারণ আত্মহত্যা। সিউলে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেড়ে যাওয়ার পরও কাউন্সিলর কিমের এমন মন্তব্যকে অযাচিত ও অসতর্কতা বলে মন্তব্য করেন সিউলের ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্থাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক সং-ইন-হা।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন বিভিন্ন পূর্ণকালীন চাকরিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। এমনকি নারীরা সেখানে পুরুষের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম বেতন পান।