ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবিতে “সিটিজেন চার্টার রিভিউ এন্ড আপডেটিং” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ‎

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে


‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) “সিটিজেন চার্টার রিভিউ এন্ড আপডেটিং” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার অনুষদের সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানীর সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল মাসুদ এর সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন।

‎ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “একটি কার্যকর সিটিজেন চার্টার তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড আরও সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা হ্রাস পাবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।”

‎প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “সিটিজেন চার্টার হলো এক ধরনের সামাজিক চুক্তি, যা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। এটি প্রকাশ্য করার ফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং প্রত্যেকের কাছে জবাবদিহিতা সুস্পষ্ট হয়।”

‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “সিটিজেন চার্টার কেবল একটি নথি নয়; এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার এক কার্যকর হাতিয়ার। এর মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী সবাই তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করবে। সেবাপ্রার্থী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব দৃশ্যমান হবে। তাই এই কর্মশালার গুরুত্ব অপরিসীম।”

‎তিনি আরও বলেন, “যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে সঠিক পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং জবাবদিহিতার ওপর। সিটিজেন চার্টার সেই দিকনির্দেশনা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হলে সবাইকে এই চার্টার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং তা অনুসরণ করতে হবে।”

‎ওয়ার্কশপে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। মুখ্য আলোচক ছিলেন অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর বদিউজ্জামান। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, প্রফেসর আবুল বাশার খান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড.মো: ইকতিয়ার উদ্দিন।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও দফতরের শিক্ষক-কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পবিপ্রবিতে “সিটিজেন চার্টার রিভিউ এন্ড আপডেটিং” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ‎

আপডেট সময় : ০৫:১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫


‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) “সিটিজেন চার্টার রিভিউ এন্ড আপডেটিং” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার অনুষদের সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানীর সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল মাসুদ এর সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন।

‎ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “একটি কার্যকর সিটিজেন চার্টার তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড আরও সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা হ্রাস পাবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।”

‎প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “সিটিজেন চার্টার হলো এক ধরনের সামাজিক চুক্তি, যা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। এটি প্রকাশ্য করার ফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং প্রত্যেকের কাছে জবাবদিহিতা সুস্পষ্ট হয়।”

‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “সিটিজেন চার্টার কেবল একটি নথি নয়; এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার এক কার্যকর হাতিয়ার। এর মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী সবাই তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করবে। সেবাপ্রার্থী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব দৃশ্যমান হবে। তাই এই কর্মশালার গুরুত্ব অপরিসীম।”

‎তিনি আরও বলেন, “যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে সঠিক পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং জবাবদিহিতার ওপর। সিটিজেন চার্টার সেই দিকনির্দেশনা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হলে সবাইকে এই চার্টার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং তা অনুসরণ করতে হবে।”

‎ওয়ার্কশপে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। মুখ্য আলোচক ছিলেন অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর বদিউজ্জামান। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, প্রফেসর আবুল বাশার খান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড.মো: ইকতিয়ার উদ্দিন।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও দফতরের শিক্ষক-কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।