ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময়

পদ্মার চরে ধরা পড়ল রাসেলস ভাইপারের ৩ বাচ্চা, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
এবার নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে কুমড়ার জমিতে আবারও ধরা পড়েছে রাসেলস ভাইপার সাপের তিনটি বাচ্চা। এতে করে পুরো জেলাজুড়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (২৩ জুন) সকালে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নওসাড়ার চরে কুমড়ার জমিতে এ বিষধর সাপের দেখা মেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যান উপজেলার মহড়কয়া কয়লার ডহর গ্রামের বাসিন্দা কাজল (২২)। কুমড়ার জমিতে ঘাস কাটার সময় তিনটি রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চা দেখতে পান তিনি। পরে স্থানীয় কৃষকরা মিলে একটি সাপের বাচ্চাকে কুপিয়ে মেরে ফেলেন এবং দুইটি জীবিত রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চাকে কৌটাবন্দী করেন। এলাকাবাসীদের দেখানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন ওই যুবক। এ সময় সাপের বাচ্চা দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করে স্থানীয়রা।

বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিক আলী মিষ্টু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শনিবার পদ্মার চরে চারটি সাপ কৃষকরা দেখতে পেয়ে মেরে ফেলে। আজ সকালে চরে আবারও তিনটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চার দেখা মিলে। এক যুবক দুইটা সাপ কৌটা করে বাড়িতে নিয়ে এসেছে।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কেএম শাহাবুদ্দিনন বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রুপ পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় বেশি। এ জন্য আমাদের হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্ততি নিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আসলেই ডাক্তার ও নার্সরা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম রয়েছে। আমরা আগে থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পদ্মার চরে ধরা পড়ল রাসেলস ভাইপারের ৩ বাচ্চা, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

আপডেট সময় : ০৬:০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
এবার নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে কুমড়ার জমিতে আবারও ধরা পড়েছে রাসেলস ভাইপার সাপের তিনটি বাচ্চা। এতে করে পুরো জেলাজুড়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (২৩ জুন) সকালে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নওসাড়ার চরে কুমড়ার জমিতে এ বিষধর সাপের দেখা মেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যান উপজেলার মহড়কয়া কয়লার ডহর গ্রামের বাসিন্দা কাজল (২২)। কুমড়ার জমিতে ঘাস কাটার সময় তিনটি রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চা দেখতে পান তিনি। পরে স্থানীয় কৃষকরা মিলে একটি সাপের বাচ্চাকে কুপিয়ে মেরে ফেলেন এবং দুইটি জীবিত রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চাকে কৌটাবন্দী করেন। এলাকাবাসীদের দেখানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন ওই যুবক। এ সময় সাপের বাচ্চা দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করে স্থানীয়রা।

বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিক আলী মিষ্টু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শনিবার পদ্মার চরে চারটি সাপ কৃষকরা দেখতে পেয়ে মেরে ফেলে। আজ সকালে চরে আবারও তিনটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চার দেখা মিলে। এক যুবক দুইটা সাপ কৌটা করে বাড়িতে নিয়ে এসেছে।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কেএম শাহাবুদ্দিনন বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রুপ পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় বেশি। এ জন্য আমাদের হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্ততি নিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আসলেই ডাক্তার ও নার্সরা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম রয়েছে। আমরা আগে থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।