নোবিপ্রবিতে বগুড়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৪০ বার পড়া হয়েছে

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বগুড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০তম ব্যাচের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান। শনিবার (২৫ অক্টোবর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে নবীনদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল কাইউম মাসুদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. শিবলুর রহমান, খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মনসুরা মকবুল এবং আইআইটির সহকারী অধ্যাপক মো. ইউশা কাদির। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পাঠ্যজ্ঞান অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বাস্তব পাঠ শেখার সময়। সংগঠনের মাধ্যমে নেতৃত্ব, সহযোগিতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে, যা একজন শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে সফল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।”
বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অধ্যবসায়, মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা নবীন শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, সততা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে দেশগঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বগুড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মারুফ খান বলেন, “আমাদের সংগঠন সবসময় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই বগুড়ার প্রতিটি শিক্ষার্থী নোবিপ্রবিতে নিজেদের আচরণ ও মেধার মাধ্যমে সবার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক।”
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এস. এম. মাহবুবুর রহমান বলেন, “বগুড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘদিন ধরে নোবিপ্রবিতে ঐক্য, সহযোগিতা ও ইতিবাচক সংস্কৃতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সংগঠনটি আরও বৃহত্তর অবদান রাখতে সক্ষম হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলার শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রাণবন্ত পরিবেশ, সাংস্কৃতিক পর্ব ও পারস্পরিক সৌহার্দ্যে মুখর হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানস্থল।






















