নীলফামারী প্রতিনিধি:উত্তরবঙ্গের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক বিবর্তনের আলোকে বিশ্লেষণধর্মী গবেষণা গ্রন্থ ‘বাগডোগরা থেকে নীলফামারী (১৮৭৫–১৯৮৪): এক মহকুমার ১০৯ বছরের ইতিহাস’-এর উপর এক প্রামাণ্য সেমিনার ও মতবিনিময় সভা আজ নীলফামারী শহরের স্কাইভিউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন গ্রন্থের গবেষক ও লেখক ড. জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
সেমিনারে উপস্থিথ ছিলেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা, উপাধ্যক্ষ, নীলফামারী সরকারি কলেজ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আল-ফারুক আব্দুল লতীফ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান টিপু, এটিএন বাংলা এর জেলা প্রতিনিধি মিল্লাদুর রহমান মামুন, ডেইলী সান এর জেলা প্রতিনিধি এম আর চৌধুরী রাজু, সংস্কৃতি কর্মী মোহাম্মদ আলী, কবি ও লেখক মনি খন্দকার, জ্ঞানাঙ্কুর লাইব্রেরীর স্বত্বাধীকার আপেলসহ জেলার প্রবীণ নাগরিক, গবেষক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নীলফামারী আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, “এই গবেষণা শুধু নীলফামারী নয়, পুরো উত্তরবঙ্গের উপেক্ষিত ইতিহাসকে তুলে এনেছে। এটি একটি অঞ্চলভিত্তিক গবেষণার মডেল।”
এছাড়াও বক্তারা বলেন, এ গবেষণায় ১৮৭৫ সালে বাগডোগরা মহকুমার জন্ম থেকে শুরু করে ১৯৮৪ সালে নীলফামারী জেলার আত্মপ্রকাশ পর্যন্ত নানা রাজনৈতিক আন্দোলন, প্রশাসনিক রূপান্তর, সাংস্কৃতিক জাগরণ এবং জনজীবনের বিবর্তন অত্যন্ত সুচিন্তিত ও প্রামাণ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গ্রন্থের লেখক, গবেষক ড. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, “এই গবেষণা কেবল একটি প্রশাসনিক ইতিহাস নয়, এটি একটি জনপদের আত্মস্মৃতির দলিল। দীর্ঘ ১০৯ বছরের ইতিহাসকে ঘটনাপ্রবাহভিত্তিক এবং সমাজকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করে তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থটি নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য একটি ভিত্তিস্বরূপ উপাদান হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।”
অনুষ্ঠানে গবেষণার একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ ও মতবিনিময় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের মতামত, প্রস্তাবনা এবং ভবিষ্যৎ গবেষণার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.