নীলফামারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০৩:০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়ে সম্প্রতি মিথ্যা সংবাদ উপস্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষক শিক্ষিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাফি।
এতে বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি গোলাম শামীম মোস্তাজির, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও অভিভাবক মোশাররফ হোসেন।
নানা অনিয়ম, হয়নারী ও বিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তুলে জোর প্রতিবাদ করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাফি অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ৬ই অক্টোবর ক্ষমতার অপব্যবহার, হয়রানী, অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বরাখাস্ত হন আব্দুস সাত্তার। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক কাফি আরোও বলেব, সম্প্রতি তারই ইন্ধনে সাংবাদিকদের মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায়। যা পুরোপুরি মিথ্যে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, আব্দুস সাত্তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। শিক্ষকদের অবমুল্যায়ন করতেন। নানাভাবে হয়রানী করতেন। যার শিকার হই আমি নিজেও।
ছাত্র অভিভাবক মোশাররফ হোসেন বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার এর বিরুদ্ধে নানা স্বেচ্ছাচারিতাযর অভিযোগ তুলে বলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে বিদ্যালয়টি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছিলেন বরখাস্ত হওয়া সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার। প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন তো হয়নি বরং লুটেপুটে খেয়েছেন।
তিনি আরোও বলেন, বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহার হোসেনকে ও ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি আমিনুর রহমানকে পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বানিয়ে দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম শামীম মোস্তাজির বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ফরম ফিলাপসহ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করেছেন। যার কারণে তিনি বরখাস্ত হয়েছেন। বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেন এবং বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে উঠে পড়ে লেগে পড়েছেন।
নানা অভিযোগের বিষয়ে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।