নীলফামারীতে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমারে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার এক মাত্র আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)৷
বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্প আভিযানিক দল জেলার ডোমার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডোমার থানাধীন ০৭নম্বর বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোগরা গ্রামের চিলাহাটি রোডগামী খুলখুলি ব্রীজের উপর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷
গ্রেফতারকৃত হলেন, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার খারিজা ভাজনী তালতলা (ডাঙ্গাপাড়া), গ্রামের মোঃ আতাউর রহমান এর ছেলে আবু আজাদ(৩০)।
র্যাব জানায়, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, প্রতারক, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে র্যাবের ব্যাপক অভিযান অব্যাহত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ডোমার থানার মামলা নং-১৪ তারিখ ২০/০৪/২০২৪, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
মামলার আরজি সুত্রে জানা যায়, গত ০১/১১/২৩ তারিখে অত্র মামলার আসামী আবু আজাদ অত্র মামলার বাদিনীর স্বামীর অনুপুস্থিতে তার বাড়িতে যায় এবং বাদিনির স্বামী ও লোক না থাকার সুযোগে আসামী আচমকা বাদিনী কে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ছবি তোলেন। এতে বাদিনী ক্ষিপ্ত হয়ে ছবি ডিলেট করতে বললে আসামী জানান ভবিষ্যতে এমন করবেনা এবং ছবি ডিলেট করেছেন বলে বাদিনীকে আশ্বস্ত করে। পরে আসামী বাদিনীর সহিত শারিরীক সম্পর্ক না করে তাহলে উক্ত ছবি গুলো তার স্বামীর মোবাইল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে তার সংসার নষ্ট করার হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনার ০২ মাস পর ০২/০১/২৪ তারিখে রাত্রী ২২০০ ঘটিকার সময় আসামী আবারও বাদিনীর বাড়িতে আসেন। সেদিন ও তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোবাইলে ধারণ করা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ব্লাক মেইল করে ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে বাদিনীকে বিবস্ত্র করে গোপনে শোকেজের উপর মোবাইল রেখে ক্যামেরা চালু করে বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে। যা বাদিনী কোনভাবেই বুঝতে পারেনা । পরে আসামী বাদিনীকে ফোন দিয়ে জানায় যে এখন থেকে তার শারিরীক চাহিদা না মেটালে তার ধর্ষনের ভিডিও তার স্বামীর মোবাইলে ছেড়ে দিয়ে সংসার নষ্ট করবেন। উক্ত কথা শুনার পর বাদিনী চিন্তায় পড়ে যান এবং মোবাইল চালানো বন্ধ করে দেন এবং আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২৯/০২/২৪ তারিখে স্বামীর অনুপুস্থিতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্নহত্যার চেষ্টা করলে তার ০৭ বছরের কন্যা দেখে কান্না শুরু করলে বাদিনীর দেবর দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে রক্ষা করে। পরে বাদিনীর কাছে তার আত্নহত্যার কারণ জানতে চাইলে উপরোক্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানান।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷