মোহাম্মদ মাসুদ:-
চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার ভিন্ন জাত ধর্ম গোত্রের হয়েও প্রেমের মিথ্যা মোহে লোভে লালসার শিকার ক্রেতা ভুক্তভোগী নারী। বিক্রেতার ছলে নানা ছলনা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ফাঁদে ফাঁকে ফেলে পরিস্থিতিতে করে ধর্ষণ। দীর্ঘদিন ঘর সংসারের নাটক সাজিয়ে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে ধরা খেলো র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর হাতে।
০৮ জুন (রবিবার) আভিযানিক দলের অভিযানে আসামী পলাশ দাস (৪০), পটিয়া থানাধীন এলাকা হাতে গ্রেফতার করে। আসামির পিতা-সুনীল, সাং-নন্দীপাড়া, থানা-সাতকানিয়া,চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
ছিলেন ক্রেতা বিক্রেতা হয়ে গেল ধর্ষক। দীর্ঘ চার বছরে ভদ্র ছদ্মবেশী ঘটনার আড়ালে সত্যতার হলো প্রকাশ। ধর্ষক হয়ে এখন হাজতে লোভ পাপের ফলে অবসান। ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী পলাশ দাশ'কে পটিয়া থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম ডিভোর্সী ও ২টি সন্তানের জননী। সন্তানদের নিয়ে কেরানীরহাট এলাকায় বসবাস সূত্রে স্থানীয় বাজারের মুদির দোকানী জৈনক পলাশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ০৮ অক্টোবর ২০২১ ইং পলাশের দোকানে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পলাশ থাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম জানতে পারেন যে, জৈনক পলাশ হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের তার পূর্বে স্ত্রী ও সন্তান রযেছে।
ঘটনা ধামাকা দিতে ভিকটিমকে পলশ হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ সংসারের আশ্বাসেে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস'সহ গর্ভবতী হলে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগে ভিকটিমকে মারধরসহ গর্ভের সন্তানটি নষ্ট কারার জন্য হুমকি প্রদান করে।
উক্ত ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় মামলা হয়। মামলা নং- ১৫, (২০ মে ২০২৫) ধারাঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১) , তৎসহ ৪১৭/৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত নজর দাড়ির ধারাবাহিকতায় পলাতক আসামী পলাশ দাশ পটিয়া থানাধীন সেবাশ্রম মন্দির এলাকয় অবস্থানকালে আটক করে।
আসামী সংক্রান্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে তাকে সাতকানিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.