নারীর মাথায় ডিবি কর্মকর্তার পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে মামলা

- আপডেট সময় : ১০:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

মুসফিকুর রহমান কাজল, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামিকে না পেয়ে তার স্ত্রীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপীর আদালতে এজাহারটি জমা দেন ভুক্তভোগী বন্যা বেগম। মামলাটি আমলে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর সার্কেল) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় ডিবির রবিউল ছাড়া নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকার এনামুল হক, সামসুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও তার ভাই মো. সাগর।
এর আগে গতকাল সোমবার সকালে আদালতে মামলার একটি এজাহার জমা দেন ভুক্তভোগী বন্যা বেগম। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু না হলে বিকেল সাড়ে ৫টায় এটি তুলে নেন ভুক্তভোগী। পরে আজ বেলা ১১টায় আবারও একটি এজাহার জমা দিলে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি রুজু হয়।
বাদীর আইনজীবী মো. শওকত আলী বলেন, এজাহারে ত্রুটি থাকায় সোমবার ভুক্তভোগী বন্যা বেগম আদালত থেকে এজাহারটি ফিরিয়ে নেন। তবে আজ মঙ্গলবার আবারো আদালতে জমা দিলে মামলাটি রুজু হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় দায়ের করা মামলার বাদী এনামুল হক, তার আত্মীয় সামছুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম এবং তার ভাই মো. সাগর পুলিশকে নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান। সেখানে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নুরুলের স্ত্রী বন্যা বেগম (৩৩) ও তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে মারধর করে পুলিশ ও সঙ্গীরা। একপর্যায়ে বন্যার মাথায় বন্দুক তাক করেন ডিবি পুলিশের এসআই রেজাউল করিম। এসময় দুটি গুলিও করে ডিবি সদস্যরা।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে নূরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আসামি নুরুল ইসলামকে না পেয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরসহ একপর্যায়ে ডিবির সদস্য রেজাউল করিম আসামির স্ত্রী বন্যা বেগমের মাথায় পিস্তল ঠেকান বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) হাবিবুল্লাহ সরকার