ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার কালিগঞ্জে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় প্রাথমিকের ২ শিক্ষক বিভাগীয় জবাবদিহির মুখে বহমান বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য শিক্ষাবিদ মো. জিয়াউর রহমান’র ওফাতে গভীর শোক প্রকাশ সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে এবি পার্টির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি ঔষধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাপলেজা বাজার বা হাট ভুমি দস্যুদের হিংস্র থাবায় স্হাপনা তৈরী করে বেহাল দশা ঐতিহ্য বাহী জমিদার বাড়ী আজ ময়লা আবর্জনায় পরিত্যাক্ত পরিবেশ দুষনের হুমকি সৈয়দপুর সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত চাকরি ছাড়ায় মিথ্যা মামলা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী লালু ও তার ছেলে সৌরভের বিরুদ্ধে নকল মোবাইল বিক্রির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিহতরা হলেন— হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৫) এবং তাদের চার বছরের ছেলে আফরান। নিহত হাবিবুল্লাহ শিপলুর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন গ্রামে। পরিবারটি নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জামাল উদ্দিন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভাড়া বাসার দরজা ভেতর থেকে লক করা। পরে নিহতদের স্বজন এবং স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশের পর শিপলুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। অন্য একটি কক্ষে তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম এবং ছেলে আফরানকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দুজনের মুখের ওপর বালিশ চাপা দেওয়া ছিল।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- হাবিবুল্লাহ শিপলু প্রথমে স্ত্রী এবং সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তিনি নিজে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তিনি বলেন, নিহত শিপলু ‘রমজান সমিতি’ নামে একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সমিতিটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সমিতির মালিক গ্রাহকের জমা রাখা টাকার বড় অঙ্ক আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর গ্রাহকরা সমিতির মালিক এবং শিপলুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে শিপলু প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে- ওই হতাশা থেকেই তিনি এমন পদক্ষেপ নেন।

সূত্র,ঢাকা পোস্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিহতরা হলেন— হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৫) এবং তাদের চার বছরের ছেলে আফরান। নিহত হাবিবুল্লাহ শিপলুর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন গ্রামে। পরিবারটি নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জামাল উদ্দিন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভাড়া বাসার দরজা ভেতর থেকে লক করা। পরে নিহতদের স্বজন এবং স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশের পর শিপলুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। অন্য একটি কক্ষে তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম এবং ছেলে আফরানকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দুজনের মুখের ওপর বালিশ চাপা দেওয়া ছিল।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- হাবিবুল্লাহ শিপলু প্রথমে স্ত্রী এবং সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তিনি নিজে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তিনি বলেন, নিহত শিপলু ‘রমজান সমিতি’ নামে একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সমিতিটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সমিতির মালিক গ্রাহকের জমা রাখা টাকার বড় অঙ্ক আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর গ্রাহকরা সমিতির মালিক এবং শিপলুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে শিপলু প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে- ওই হতাশা থেকেই তিনি এমন পদক্ষেপ নেন।

সূত্র,ঢাকা পোস্ট