ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে উদয়ন দুর্গা মন্দিরে ৮৪ তম দুর্গোৎসব ও অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহোৎসব উদযাপিত আলমডাঙ্গায় জমি বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৩ চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা ঝালের কেজি ৩২০ টাকা দিশেহারা ক্রেতা ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প

নরসিংদীতে গুলিতে নিহত ১৪ জনের ৯ জনই কিশোর–তরুণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীতে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পর সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীতে। এ সময় সেখানে গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের বয়সই ১৫ থেকে ২২ বছর। এ ছাড়া পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুজনকে। বিভিন্ন হাসপাতাল, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

নরসিংদীতে ১৮ ও ১৯ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ২০ জুলাই জেলা কারাগারে হামলা করেন বিক্ষোভকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জেলখানা মোড়ে ১৮ জুলাই রাবার বুলেটের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নবম শ্রেণিপড়ুয়া তাহমিদ ভূঁইয়া তামিম (১৫)। তার লাশ স্ট্রেচারে রেখে স্লোগান দিচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় আবার গুলি চালায় পুলিশ।

তাহমিদ ছাড়াও ১৮ জুলাই জেলখানা মোড়ে গুলিতে মারা গেছেন নরসিংদী আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইমন মিয়া (২২)। পরদিন সকালে ওই এলাকায় জড়ো হন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে সেখানকার রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করার সময় ছাত্রলীগ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ফয়েজ মিয়া (৪৫) নামের এক শ্রমিককে।

নরসিংদী শহরের বাইরে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে মাধবদী উপজেলায়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেখেরচর ও মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষে মারা গেছেন চারজন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন আশিকুল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. নাহিদ মিয়া (২০) ও আলী হোসেন (৪৫)। আশিক অটোরিকশার চালক ছিলেন, নাহিদ ঝালমুড়ি বিক্রেতা ও আলী হোসেন দরজির কাজ করতেন। এ ছাড়া মাধবদী এলাকার মেহেরপাড়া এলাকায় হাসান মিয়া (৪৫) নামের এক দিনমজুর মারা যান।

জেলায় উল্লেখযোগ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে শিবপুর উপজেলায়। ১৯ জুলাই রাতে এখানকার ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করতে যান বিক্ষোভকারীরা। তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে। গুলিতে আমজাদ হোসেন (২২), মো. শিয়াম (১৮), হৃদয় মীর (১৮) ও সুজন মিয়া (১৭) মারা যান। তাঁদের মধ্যে আমজাদ নরসিংদী সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন, হৃদয় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন, সুজন রিকশা চালাতেন আর কর্মহীন ছিলেন শিয়াম।

এ ছাড়া ১৯ জুলাই শিবপুর কলেজগেট এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কুপিয়ে টিপু সুলতান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টিপু ছিলেন পৌর মৎস্যজীবী লীগের নেতা।মাধবদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেখেরচর ও মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষে মারা যাওয়া চারজনের একজন আশিকুল ইসলাম। গত শনিবার উপজেলার মেহেরপাড়া এলাকায় আশিকুলের বাসায় গিয়ে তাঁর মা শামছুর নাহারের সঙ্গে কথা হয়।

শামছুর নাহার বলেন, ‘বন্ধুর গুলি লেগেছে শুনে আমার ছেলে ছুটে গিয়েছিল। বন্ধুকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার জন্য সবার কাছ থেকে টাকা তুলছিল। টাকা তোলা শেষে হাসপাতালে যাবে, তখন আবার গোলাগুলি শুরু হয়। কয়েকজন মিলে রাস্তার পাশের একটি ওষুধের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেয়।’শামছুর নাহার বলেন, প্রায় ২০ মিনিট গোলাগুলি চলার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে দোকান থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসেন তাঁর ছেলে। ঠিক তখন গুলি এসে লাগে তাঁর ছেলের বুকে।

ছেলে মারা গেলেও মামলা করার সাহস পাননি শামছুর নাহার। তিনি বলেন, ‘কার বিরুদ্ধে মামলা করব? সরকারি লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে আমরা টিকতে পারব না।’১৯ জুলাই মাধবদীর আলগী এলাকা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। রাস্তা ফাঁকা করতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওই এলাকায় যান মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন প্রধান। তখন মেয়র ও তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। ধাওয়া খেয়ে মেয়র ও তাঁর অনুসারীরা একটি ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ভবনটি ঘিরে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।

একপর্যায়ে মেয়র ও তাঁর অনুসারীদের আশ্রয় নেওয়া ভবনের ভেতর থেকে কয়েকটি গুলি ছোড়া হয়। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শাওন আহমেদ (১৮)।গত শনিবার শাওনের বাসায় গিয়ে কথা হয় তাঁর মা হাসিনা বেগম ও ভাই মো. ওলিউল্লাহর সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগ, এক বন্ধু ফোন করে শাওনকে সেখানে নিয়ে যান। পরে মেয়রের গুলিতে মারা যান শাওন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো গুলি করিনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নরসিংদীতে গুলিতে নিহত ১৪ জনের ৯ জনই কিশোর–তরুণ

আপডেট সময় : ১২:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীতে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পর সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীতে। এ সময় সেখানে গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের বয়সই ১৫ থেকে ২২ বছর। এ ছাড়া পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুজনকে। বিভিন্ন হাসপাতাল, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

নরসিংদীতে ১৮ ও ১৯ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ২০ জুলাই জেলা কারাগারে হামলা করেন বিক্ষোভকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জেলখানা মোড়ে ১৮ জুলাই রাবার বুলেটের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নবম শ্রেণিপড়ুয়া তাহমিদ ভূঁইয়া তামিম (১৫)। তার লাশ স্ট্রেচারে রেখে স্লোগান দিচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় আবার গুলি চালায় পুলিশ।

তাহমিদ ছাড়াও ১৮ জুলাই জেলখানা মোড়ে গুলিতে মারা গেছেন নরসিংদী আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইমন মিয়া (২২)। পরদিন সকালে ওই এলাকায় জড়ো হন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে সেখানকার রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করার সময় ছাত্রলীগ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ফয়েজ মিয়া (৪৫) নামের এক শ্রমিককে।

নরসিংদী শহরের বাইরে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে মাধবদী উপজেলায়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেখেরচর ও মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষে মারা গেছেন চারজন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন আশিকুল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. নাহিদ মিয়া (২০) ও আলী হোসেন (৪৫)। আশিক অটোরিকশার চালক ছিলেন, নাহিদ ঝালমুড়ি বিক্রেতা ও আলী হোসেন দরজির কাজ করতেন। এ ছাড়া মাধবদী এলাকার মেহেরপাড়া এলাকায় হাসান মিয়া (৪৫) নামের এক দিনমজুর মারা যান।

জেলায় উল্লেখযোগ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে শিবপুর উপজেলায়। ১৯ জুলাই রাতে এখানকার ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করতে যান বিক্ষোভকারীরা। তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে। গুলিতে আমজাদ হোসেন (২২), মো. শিয়াম (১৮), হৃদয় মীর (১৮) ও সুজন মিয়া (১৭) মারা যান। তাঁদের মধ্যে আমজাদ নরসিংদী সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন, হৃদয় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন, সুজন রিকশা চালাতেন আর কর্মহীন ছিলেন শিয়াম।

এ ছাড়া ১৯ জুলাই শিবপুর কলেজগেট এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কুপিয়ে টিপু সুলতান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টিপু ছিলেন পৌর মৎস্যজীবী লীগের নেতা।মাধবদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেখেরচর ও মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষে মারা যাওয়া চারজনের একজন আশিকুল ইসলাম। গত শনিবার উপজেলার মেহেরপাড়া এলাকায় আশিকুলের বাসায় গিয়ে তাঁর মা শামছুর নাহারের সঙ্গে কথা হয়।

শামছুর নাহার বলেন, ‘বন্ধুর গুলি লেগেছে শুনে আমার ছেলে ছুটে গিয়েছিল। বন্ধুকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার জন্য সবার কাছ থেকে টাকা তুলছিল। টাকা তোলা শেষে হাসপাতালে যাবে, তখন আবার গোলাগুলি শুরু হয়। কয়েকজন মিলে রাস্তার পাশের একটি ওষুধের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেয়।’শামছুর নাহার বলেন, প্রায় ২০ মিনিট গোলাগুলি চলার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে দোকান থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসেন তাঁর ছেলে। ঠিক তখন গুলি এসে লাগে তাঁর ছেলের বুকে।

ছেলে মারা গেলেও মামলা করার সাহস পাননি শামছুর নাহার। তিনি বলেন, ‘কার বিরুদ্ধে মামলা করব? সরকারি লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে আমরা টিকতে পারব না।’১৯ জুলাই মাধবদীর আলগী এলাকা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। রাস্তা ফাঁকা করতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওই এলাকায় যান মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন প্রধান। তখন মেয়র ও তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। ধাওয়া খেয়ে মেয়র ও তাঁর অনুসারীরা একটি ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ভবনটি ঘিরে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।

একপর্যায়ে মেয়র ও তাঁর অনুসারীদের আশ্রয় নেওয়া ভবনের ভেতর থেকে কয়েকটি গুলি ছোড়া হয়। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শাওন আহমেদ (১৮)।গত শনিবার শাওনের বাসায় গিয়ে কথা হয় তাঁর মা হাসিনা বেগম ও ভাই মো. ওলিউল্লাহর সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগ, এক বন্ধু ফোন করে শাওনকে সেখানে নিয়ে যান। পরে মেয়রের গুলিতে মারা যান শাওন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো গুলি করিনি।’