ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্বের সেরা জুলুসে জনস্রোতে চট্টগ্রাম পৌনে ১কোটি জনতার রেকর্ড শ্যামনগরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে কৃষকদলের সভাপতি বহিষ্কৃত কৃষক দলের নেতার বিরুদ্ধে থানায়  জিডি  সোনাগাজীতে প্রবাসী পরিবারের উপর হামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঝিনাইদহে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ১১ তম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত তানোরে জামায়াতের আয়োজনে সিরাতে রাসুল (স:) সেমিনার অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত জমি বিক্রির নামে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ঝিনাইদহে চিহ্নিত প্রতারক পরিবারের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত এক গৃহবধু রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের লাশ কবর থেকে তুলে জ্বালিয়ে দিলো তৌহিদি জনতা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ‘আউটকাম বেজড কারিকুলাম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
‘আউটকাম বেজড কারিকুলাম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনস্থ দুইটি বিভাগের জন্য আউটকাম বেজড কারিকুলাম শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ ও স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বর্তমান শতাব্দীতে শিক্ষাক্ষেত্রে সারা বিশ্বে একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। আমাদের সবকিছুতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে শিক্ষকদের আধুনিক যুগের শিক্ষার চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে হয়। একজন যদি ভালো রেজাল্ট করে মনে করেন আমি একজন ভালো শিক্ষক হয়ে যাবে সেটি ঠিক নয়।
এ সময় মাননীয় উপাচার্য উদাহরণ হিসেবে একটি স্মার্টফোন তুলে ধরে উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখন প্রতিটি ছাত্রের হাতে একটা করে স্মার্ট ফোন থাকে। স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দ্বারা ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগত তার সামনে উন্মুক্ত। ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রচুর রেফারেন্স এসে গেছে। ইন্টারনেটে দেখে বা খোঁজ করে সে যেকোনো সময় যেকোনো বিষয়েই শিক্ষককে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তাই কোনো শিক্ষক যদি ক্লাসে একদিন পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন, দুদিন ব্যর্থ হন তাহলে কিন্তু তৃতীয়দিন তিনি আর ক্লাসে দাঁড়ানোর জন্য মনের শক্তি পাবেন না। এই চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু এখনকার শিক্ষকদের সামনে এসে গেছে। যা আজ থেকে ত্রিশ, চল্লিশ বছর আগের শিক্ষকদের ততটা ছিল না।
শিক্ষানীতি, কারিকুলাম, সিলেবাসের মধ্যকার পার্থক্য তুলে ধরে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শিক্ষানীতি, কারিকুলাম ও সিলেবাসের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে। অনেকে কারিকুলাম ও সিলেবাসকে এক করে ফেলেন। কিন্তু সেটি ঠিক নয়। বর্তমান সরকার নতুন শিক্ষানীতি দিয়ে দিয়েছেন। সেই নীতি অনুসারে আমাদের কারিকুলাম ও সিলেবাসকে পরিবর্তন করতে হবে। বিভাগগুলোর সিলেবাসে বিভাগের মূল বিষয়টি অক্ষুন্ন রেখে কম্পিউটার, তথ্য-প্রযুক্তির দক্ষতার বিষয়গুলো যুক্ত করে দিতে হবে। আর এসকলের সঙ্গে সবার আগে শিক্ষকদের অভ্যস্ত হতে হবে। আধুনিক যুগের শিক্ষকতার এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই শিক্ষকদের ট্রেনিং দরকার। শিক্ষকদের এইসব ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, সংস্কৃতে একটা সুন্দর বাক্য আছে যেÑ সন্তান ও শিক্ষার্থীর কাছে পরাজয়ের মধ্য দিয়েই পিতা-মাতা ও শিক্ষকের বিজয়। সন্তান যদি তার পিতা/মাতাকে অতিক্রম করে, ছাত্র যদি তার শিক্ষককে অতিক্রম করে এই যে পরাজয় এটিই তার বিজয়। আমরা শিক্ষক আমাদের কিন্তু পরাজিত হলে ভয় পেলে চলবে না। আমাদের পরাজয় হলেও আমাদের বিজয়। এটিই মানসিকতা রাখতে হবে।
শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আউডটকাম বেজড করা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকি
সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত এইসব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষাপদ্ধতিকে আধুনিক করে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নিয়ে যেতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বেব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্পদব্যক্তি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ‘আউটকাম বেজড কারিকুলাম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
‘আউটকাম বেজড কারিকুলাম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনস্থ দুইটি বিভাগের জন্য আউটকাম বেজড কারিকুলাম শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ ও স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বর্তমান শতাব্দীতে শিক্ষাক্ষেত্রে সারা বিশ্বে একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। আমাদের সবকিছুতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে শিক্ষকদের আধুনিক যুগের শিক্ষার চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে হয়। একজন যদি ভালো রেজাল্ট করে মনে করেন আমি একজন ভালো শিক্ষক হয়ে যাবে সেটি ঠিক নয়।
এ সময় মাননীয় উপাচার্য উদাহরণ হিসেবে একটি স্মার্টফোন তুলে ধরে উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখন প্রতিটি ছাত্রের হাতে একটা করে স্মার্ট ফোন থাকে। স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দ্বারা ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগত তার সামনে উন্মুক্ত। ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রচুর রেফারেন্স এসে গেছে। ইন্টারনেটে দেখে বা খোঁজ করে সে যেকোনো সময় যেকোনো বিষয়েই শিক্ষককে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তাই কোনো শিক্ষক যদি ক্লাসে একদিন পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন, দুদিন ব্যর্থ হন তাহলে কিন্তু তৃতীয়দিন তিনি আর ক্লাসে দাঁড়ানোর জন্য মনের শক্তি পাবেন না। এই চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু এখনকার শিক্ষকদের সামনে এসে গেছে। যা আজ থেকে ত্রিশ, চল্লিশ বছর আগের শিক্ষকদের ততটা ছিল না।
শিক্ষানীতি, কারিকুলাম, সিলেবাসের মধ্যকার পার্থক্য তুলে ধরে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শিক্ষানীতি, কারিকুলাম ও সিলেবাসের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে। অনেকে কারিকুলাম ও সিলেবাসকে এক করে ফেলেন। কিন্তু সেটি ঠিক নয়। বর্তমান সরকার নতুন শিক্ষানীতি দিয়ে দিয়েছেন। সেই নীতি অনুসারে আমাদের কারিকুলাম ও সিলেবাসকে পরিবর্তন করতে হবে। বিভাগগুলোর সিলেবাসে বিভাগের মূল বিষয়টি অক্ষুন্ন রেখে কম্পিউটার, তথ্য-প্রযুক্তির দক্ষতার বিষয়গুলো যুক্ত করে দিতে হবে। আর এসকলের সঙ্গে সবার আগে শিক্ষকদের অভ্যস্ত হতে হবে। আধুনিক যুগের শিক্ষকতার এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই শিক্ষকদের ট্রেনিং দরকার। শিক্ষকদের এইসব ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, সংস্কৃতে একটা সুন্দর বাক্য আছে যেÑ সন্তান ও শিক্ষার্থীর কাছে পরাজয়ের মধ্য দিয়েই পিতা-মাতা ও শিক্ষকের বিজয়। সন্তান যদি তার পিতা/মাতাকে অতিক্রম করে, ছাত্র যদি তার শিক্ষককে অতিক্রম করে এই যে পরাজয় এটিই তার বিজয়। আমরা শিক্ষক আমাদের কিন্তু পরাজিত হলে ভয় পেলে চলবে না। আমাদের পরাজয় হলেও আমাদের বিজয়। এটিই মানসিকতা রাখতে হবে।
শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আউডটকাম বেজড করা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকি
সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত এইসব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষাপদ্ধতিকে আধুনিক করে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নিয়ে যেতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বেব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্পদব্যক্তি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা।