ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রবাসীর স্ত্রী, শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ফরিদপুরে প্রবাসীর স্ত্রী শ্বশুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় অভিযুক্ত শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার এক লাখ টাকা ওই গৃহবধূকে দেওয়া হবে। সোমবার (১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে এ রায় দেন ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম রেজাউল মিয়া (৫৩)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রেম করে বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেন ওই গৃহবধূ (৩১)। ওই ঘরে তাদের দুইজন শিশু সন্তান রয়েছে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে জীবিকার তাগিদে দুবাই যান স্বামী। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূর শ্বশুর রেজাউল মিয়া তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ওই গৃহবধূ তার ঘরে শুয়েছিলেন। তখন তার কক্ষে ঢুকে শ্বশুর রেজাউল দরজা আটকে দিয়ে তার এক নাতির গলায় ছুরি ধরে পুত্রবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর আরও কয়েকবার একইভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এর ফলে ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল বোয়ালমারী থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরদিন ২১ এপ্রিল শ্বশুরকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি রেজাউল মিয়াকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুরের পরিদর্শক মো. জালাল উদ্দীন সরদার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই আদালতের পিপি স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজে বার্তা দেবে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এতে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রবাসীর স্ত্রী, শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৯:২৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ফরিদপুরে প্রবাসীর স্ত্রী শ্বশুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় অভিযুক্ত শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার এক লাখ টাকা ওই গৃহবধূকে দেওয়া হবে। সোমবার (১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে এ রায় দেন ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম রেজাউল মিয়া (৫৩)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রেম করে বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেন ওই গৃহবধূ (৩১)। ওই ঘরে তাদের দুইজন শিশু সন্তান রয়েছে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে জীবিকার তাগিদে দুবাই যান স্বামী। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূর শ্বশুর রেজাউল মিয়া তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ওই গৃহবধূ তার ঘরে শুয়েছিলেন। তখন তার কক্ষে ঢুকে শ্বশুর রেজাউল দরজা আটকে দিয়ে তার এক নাতির গলায় ছুরি ধরে পুত্রবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর আরও কয়েকবার একইভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এর ফলে ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল বোয়ালমারী থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরদিন ২১ এপ্রিল শ্বশুরকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি রেজাউল মিয়াকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুরের পরিদর্শক মো. জালাল উদ্দীন সরদার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই আদালতের পিপি স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজে বার্তা দেবে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এতে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।