দেবহাটায় রোগাক্রান্ত গরু জবাই করার অভিযোগে কষাই মুন্না রোষানলে

- আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

জি এম আব্বাস উদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি= দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া আশু মার্কেটে রোগাক্রান্ত গাই গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করার অভিযোগে কষাই মুন্না এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ আগষ্ট সোমবার সকাল ৯ টায় কুলিয়া আশু মার্কেটে। কষাই বহেরা গ্রামের সুরোত সাহাজীর ছেলে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে কুলিয়া ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান ঘটনা স্হলে এসে, দেবহাটা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামকে জানালে তিনি সকাল ১০ টায় ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনা স্হল ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ হান্নান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কষাই মুন্নার কাছে শুনেছি গাই গরুটি মাত্র ২৯ হাজার টাকায় শাঁখরা এক গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ক্রয় করে। গরুটি বেশী রোগা ছিল, তাই দামে কম। তবে লোকমুখে শুনেছি গরুটি রোগগ্রস্থ হতে পারে। গরু জবাই করেন, বহেরা দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নূরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোরে ফজরের নামাজের পূর্বে গরু জবাই করার জন্য লাবণ্য বতী খালের উপর শ্রীরামপুর ব্রীজটিতে আমাকে আসতে বললে আমি সেখানে এসে ব্রীজের উপর একটি রোগা গাই গরু জবাই করে দেয়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কথা গুলো শোনার পরে তিনি কষাই মুন্নাকে বলেন,এবার থেকে কোন পশু জবাই করতে হলে তার আগে আমার কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র নিতে হবে এবং রাত্রে নয়, সকালে সবাই সামনে পশু জবাই করতে হবে। এব্যাপারে কুলিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান প্রভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদ মহোদয় আমাকে জানালে আমি তৎক্ষনাৎ সকাল ১১ টায় ঘটনা স্হলে যাই। সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসী, ইউপি সদস্য আঃ হান্নান, ইউপি সদস্যা ফতেমা খাতুন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানলাম, গরুটি রোগা, মাত্র ২৯ হাজার টাকায় ক্রয় করা, এত কম দামের গরু সেহেতু রোগগ্রস্থ হতে পারে। তারা আরও বলেন, প্রায়ই উক্ত ব্রীজের উপর গরু জবাই করা ঠিক না কারণ পথচারীদের চলাচলের অসুবিধা হয় এবং মাংস বিক্রয়ের জায়গাটি মেইন রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় হওয়ায় ধূলাবালিতে ভরে যাওয়ার কথা। বহেরা জামে মসজিদের সেক্রেটারি রাজু আহমেদ জানান, লাবণ্য বতী খালের ব্রীজের উপর গরু জবাই করার পথচারীদের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। গরু জবাই করার জন্য একটি নিদিষ্ট জায়গা থাকা দরকার, গরুটি রোগা গাই গরু ছিল, এত অল্পদামে ভালো গরু পাওয়া যায় না। এলাকাবাসী আরও জানান,কুলিয়া নতুন বাজারেও মাঝে মাঝে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে দেখার মত কেউ নেই, নতুন বাজার কমিটি সেক্রেটারি আমিনুর রহমান জানান, বাজার কমিটি সক্রিয় নেই ও কোন কার্যক্রম না থাকার সুযোগে কসাইরা যে যার মত যেখানে সেখানে পশু জবাই করে। তাছাড়া এই পর্যন্ত কোন কসাই পশু জবাই করার জন্য কাউকে কিছু না বলে নিজের ইচ্ছে মত রাত্রে পশু জবাই করে। এব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় এম আবু নওশাদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।