দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ দেবহাটায় বাড়ি থেকে টাকা চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় সত্য প্রমাণিত হলে, সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা কিন্তু  সেই টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দেবহাটা উপজেলা ঘলঘলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সরফ রাজ এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৫ ই ফেব্রুয়ারি তারিখ রাতে আমাদের দুই তলার ঘরের  টিনের বাক্সের শপিং ব্যাগের মধ্যে ২ লক্ষ্য টাকা  রাখা ছিল।২০ শে ফেব্রুয়ারি তারিখ বেলা অনুমান ১০.০০ টার সময় আমার পিতা আনোয়ার হোসেনের টাকার প্রয়োজনে হলে,গিয়ে দেখে টাকার ব্যাগটি নাই। হাসানুল বান্না,আনারুল মোল্যা, আশরাফুল আলম সর্ব সাং-ঘলঘলিয়া ব্যক্তিরা পরবর্তীতে তথ্য অনুসন্ধানের একপর্যায়ে যানতে পারে প্রতিবেশী আছমা খাতুন (২৫), স্বামী-মোঃ নূর আহম্মদ, সাং-ঘলঘলিয়া, থানা-দেবহাটা, লোক জনের সাথে গল্প করে বলে জিনে তাদের বাড়ীতে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে গেছে। এরপর আমাদের সন্দেহ হওয়ায় উক্ত আছমার বড় ছেলে আসিক কে আমার মা বলে, তুই আমাদের দুই তলার ঘরে গিয়েছিলি কেন? তখন আসিক বলে, "আমি যাইনি, আমার মেজ ভাই শাওন দুই তলা ঘরে যাইয়া একটি লাল শপিং ব্যাগের মধ্যে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়া আমার মায়ের কাছে দিয়াছে" শাওনকে জিজ্ঞাসা করলে শাওন স্বীকার করে। এরপর আমরা তার মাকে টাকার ব্যাপারে বললে সে এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে।  এছাড়াও উক্ত আসিক ও শাওন আরও অনেকের সাথে এই টাকা চুরির কথা স্বীকার করে। ওই চুরির টাকা তারা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন তাল বাহানা করে আসছিলো। তাই আমারা গত ১০ই মার্চ সন্ধ্যাবেলা তার বাসায় টাকার জন্য যাওয়ার পরে।তাদের ছেলে বাকীবিল্লাহ হাতে দা নিয়ে, আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তারা আমাদের কে মেরে ঘটনার মোড় ঘুরানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে, আমাদের নামে
থানায় লিখিত অভিযোগ করে ও বিভিন্ন প্রত্রিকায় আমাদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে আব্দুল মতিন বকুল বলেন, বাকি বিল্লাহ হাতে থাকা দা লোকজন দিয়ে কাড়িয় নিয়ে, ইউনিয়ন পরিষদের রাখা আছে। তবে এই বাকি বিল্লাহ খুবই দস্যু একে আইনের আওতায় আনা উচিত।এলাকাবাসী বলেন, নূর হোসেন ভালো মানুষ নয় বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে দিয়েছে। আমরা এই সরোজিতের রোষানাল থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।