দিরাই-শাল্লা সবজির মূল্য লাগামছাড়া সাধারণ ক্রেতা বিপাকে

- আপডেট সময় : ০৯:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

তৌফিকুর রহমান তাহের, সুনামগঞ্জ দিরাই শাল্লা প্রতিনিধি:দিরাই শাল্লাসদর, শ্যামারচর বাজার নিজগাঁও বাজারকান্দি (মিলন বাজার) ছোটছোট স্হানীয় বাজারে সবজির বাজার বর্তমানে বেশ চড়া এবং দাম প্রায়ই ‘লাগামছাড়া’ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, দুই-একটি ছাড়া প্রায় সব সবজির দাম এখন কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বাজারে সবজি আসতে দেরি হওয়া এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে, সাধারণ মানুষজনকে বেশি দামে সবজি কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পেঁপে, ও আলু ছাড়া বেগুন,কাঁচামরিচ প্রায় সব সবজির দাম ৮০ টাকার উপরে।কাঁচামরিচ দাম আছে শীর্ষ অবস্থানে। সবজির দাম লাগামহীন হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সুনামগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে দফায়-দফায়। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সুনামগঞ্জ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এখন বাজারের অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। এতে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম সংকটে। অনেক ক্রেতা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজারে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।
এক সপ্তাহ আগে বেগুনের দাম ছিল ৬০ টাকা কেজি, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। কাঁচা একেক বাজারে একেক মূল্য। মরিচ ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। পটলের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, আর ঢেঁড়স ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে দামও বেড়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মমিন আলী নামে একজন ক্রেত্রা বলেন, বাজারে ৫০ টাকার বেগুন এখন ৮০-১০০ টাকা। সব সবজির দামই লাগামছাড়া। গরিব মানুষের বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। বাজার মনিটরিং করা জরুরি।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনি, বেশি দামে বিক্রি করি। কম দামে কিনতে পারলে, কম দামে বিক্রি করি। সীমিত লাভ করি আমরা। দাম বাড়তি বা কমার বিষয়ে আমাদের হাত নেই।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য, বাজার মনিটরিং করা এবং সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।