দর্শনায় ভিড়ছে না ভারতীয় ট্রেন

- আপডেট সময় : ১১:১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে না ভারতীয় কোন মালবাহী ট্রেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ২০ দিন ধরে ভারত থেকে আমদানি করা কোন পণ্যও বন্দরে এসে পৌঁছায়নি। ফলে রেল বন্দরটি এক প্রকার ঝিমিয়ে পড়েছে। বন্দরের ওপর নির্ভরশীল শ্রমিক, সিএন্ডএফ কর্মচারি ও ট্রাক চালক-সহকারী অলস সময় পার করছে। সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের দাবি, পণ্য আমদানি রপ্তানী না হওয়ায় দু দেশেই রাজস্ব কমছে।
দর্শনা রেল বন্দর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও চলমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় রেল পরিচালক ও পণ্যের নিরাপত্তা জনিত কারণে গত ২৪ জুলাই থেকে দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে পণ্য আমদানি রপ্তানী বন্ধ করা হয়। এতে ভারত থেকে আসা সব ধরনের পণ্য প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে যোগাযোগ চালু করলেও ভারতের সাথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম জানান, টানা ২০ দিন ধরে দর্শনা বন্দর দিয়ে কোন ভারতীয় মালবাহি ওয়াগন আসেনি। আমদানীকারকদের মাধ্যমে তাগিদ দিলেও ভারত থেকে ওয়াগন পাঠানো হচ্ছে না। কি কারণে আমদানির অনুমতি পাওয়া পণ্য দেশে পাঠানো হচ্ছে না- তা অবশ্য জানায়নি ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন ম্যানেজার আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের সাথে রেলভাড়া বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। সেখানে অর্জন হয়েছে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় কমেছে রাজস্ব আয়। এর মধ্যে নতুন করে ভারতের সাথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে।
দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সুশান্ত চৌধুরি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮ কোটি টাকা সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। এখানেও কমেছে রাজস্ব আয়।
এদিকে বন্দরের ওপর নির্ভরশীল শ্রমিক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, কর্মচারী ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ট্রাকচালক ও হেলপাররা বেকার ও অলস হয়ে পড়েছে। কবে নাগাদ ভারতীয় ট্রেন দেশে প্রবেশ করবে তাও জানেন না তারা। তাই প্রতিদিন বন্দরে গিয়ে অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
এ নিয়ে দর্শনা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবুর দাবি, দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানী বন্ধ হয়ে পড়ায় দু’দেশই রাজস্ব হারাচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যেই রাজস্ব কমেছে।