ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় কিশোর আহত গবাদি পশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ১৮২ বার পড়া হয়েছে

একে আজাদ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:-

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দক্ষিণ সন্ধ্যারই (রাণীদিঘি) এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে শামীম হোসেন (১৬)নামে এক কিশোর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসা জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকার হোসেন আলীর দুটি গবাদিপশু (ছাগল) বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

পরদিন শনিবার ১৭ মে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে, ট্রান্সফরমারের ইনসুলেটর ভেঙে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে পিলারের নিচে থাকা দুটি ছাগল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রান্সফরমার ঠিক করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে আবারও বিদ্যুতায়িত হয়ে শামীম নামে এক কিশোর গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়াও ওই গ্রামের হোসেন আলী, মোবারক ও আনোয়ার হোসেনের বাড়িতেও বিদ্যুতের আগুনে বিভিন্ন আসবাপত্র পুড়ে যায়। আহত শামীমের বাবা মোবারক আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম, বাহিরে ট্রান্সফরমারের শব্দ ও চেঁচামেচির শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি আমার ছেলের মুখমণ্ডল পুড়ে রক্ত পড়ছে এবং হাতপা শক্ত হয়ে গেছে। তাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় বাগান শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শি আবুল বাসার ও আলমগীর বলেন,পল্লী বিদ্যুতের দুজন টেকনিশিয়ান এখানে এসে পিলারের উপর উঠে দেখে ইনসুলেটর ভেঙে গেছে। টেকনিশিয়ান সেটি পাল্টানোর কথা বললেও না পাল্টিয়ে সেটিই ঠিক করে দেন। জোড়াতালি দিয়ে ইনসুলেটর মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে পুরো এলাকা বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এতে শামীম দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম এনামুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি এখনও ঘটনাস্থলে যাইনি। যারা গেছিল তাদের কাছে শুনে এ বিষয়ে বলতে পারবো। রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক মুঠোফোনে জানান পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় কিশোর আহত গবাদি পশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

একে আজাদ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:-

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দক্ষিণ সন্ধ্যারই (রাণীদিঘি) এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে শামীম হোসেন (১৬)নামে এক কিশোর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসা জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকার হোসেন আলীর দুটি গবাদিপশু (ছাগল) বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

পরদিন শনিবার ১৭ মে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে, ট্রান্সফরমারের ইনসুলেটর ভেঙে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে পিলারের নিচে থাকা দুটি ছাগল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রান্সফরমার ঠিক করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে আবারও বিদ্যুতায়িত হয়ে শামীম নামে এক কিশোর গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়াও ওই গ্রামের হোসেন আলী, মোবারক ও আনোয়ার হোসেনের বাড়িতেও বিদ্যুতের আগুনে বিভিন্ন আসবাপত্র পুড়ে যায়। আহত শামীমের বাবা মোবারক আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম, বাহিরে ট্রান্সফরমারের শব্দ ও চেঁচামেচির শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি আমার ছেলের মুখমণ্ডল পুড়ে রক্ত পড়ছে এবং হাতপা শক্ত হয়ে গেছে। তাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় বাগান শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শি আবুল বাসার ও আলমগীর বলেন,পল্লী বিদ্যুতের দুজন টেকনিশিয়ান এখানে এসে পিলারের উপর উঠে দেখে ইনসুলেটর ভেঙে গেছে। টেকনিশিয়ান সেটি পাল্টানোর কথা বললেও না পাল্টিয়ে সেটিই ঠিক করে দেন। জোড়াতালি দিয়ে ইনসুলেটর মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে পুরো এলাকা বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এতে শামীম দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম এনামুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি এখনও ঘটনাস্থলে যাইনি। যারা গেছিল তাদের কাছে শুনে এ বিষয়ে বলতে পারবো। রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক মুঠোফোনে জানান পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।