ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পূ’জা’র ছুটিতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ধর্মীয় সহনশীলতা ছাড়া রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার সম্ভব নয়’চেয়ারম্যান মঞ্জু আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে

টেকনাফ সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলি, সারারাত জেগে রইলেন সাধারণ মানুষ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতভর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় হওয়া গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল।স্থানীয়রা জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা মৌলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা নামক গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে।হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেছেন, “সারারাত সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে। ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দের কারণে সীমান্তের মানুষ ঘুমাতে পারেনি।”হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, “হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং,কাঞ্জর পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা মনে করছিলাম দিন যত যাবে পরিস্থিতি ততটা স্বভাবিক হবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিপরীত।”হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা তারেক মাহমুদ রনি রসিকতা করে তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে যারা ঈদের ছুটিতে টেকনাফে বাড়িতে ঈদ উৎযাপন করতে এসেছে! মায়ানমার জান্তা বাহিনী তাদেরকে কোটি টাকা মূল্যের বোম ফুটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

টেকনাফ সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলি, সারারাত জেগে রইলেন সাধারণ মানুষ

আপডেট সময় : ১১:৩০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতভর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় হওয়া গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল।স্থানীয়রা জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা মৌলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা নামক গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে।হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেছেন, “সারারাত সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে। ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দের কারণে সীমান্তের মানুষ ঘুমাতে পারেনি।”হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, “হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং,কাঞ্জর পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা মনে করছিলাম দিন যত যাবে পরিস্থিতি ততটা স্বভাবিক হবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিপরীত।”হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা তারেক মাহমুদ রনি রসিকতা করে তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে যারা ঈদের ছুটিতে টেকনাফে বাড়িতে ঈদ উৎযাপন করতে এসেছে! মায়ানমার জান্তা বাহিনী তাদেরকে কোটি টাকা মূল্যের বোম ফুটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে।