ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গাংনীতে বিদেশি পিস্তল গুলি ও ম্যাগজিন সহ আটক-১ কালিগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামি গৌরপদ মন্ডলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার কৃষিগুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাকৃবির বিশেষ বাস সার্ভিস এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক

টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ স্কুলের ১৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহের মধ্যে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে একটি স্কুলের ৩ শিক্ষক ও ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অসুস্থদের মধ্যে এক শিশুসহ তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, শুকলা রানী শিল, রেবেকা আক্তার শিক্ষার্থী রানিতা, নাহিদ, নাইমা, সাবিহা, রামিসা, মোহাম্মদ হাসান, শাহিন হোসেন, লামিয়া, পিয়াস, সুমনা আক্তার, লিমনের নাম পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি খেয়ে নয়-গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

পানি খেয়ে অসুস্থ রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর রবিবার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সকলেরই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি বের করে খাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি খাবেন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া যাওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে কোন ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়েজুর রহমান বলেন, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডা. এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোন লক্ষণ পাননি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বালী বলেন, রবিবার স্কুল খোলার পর শিক্ষক- শিক্ষাথীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাইনি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরেও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখবে। একইসাথে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ স্কুলের ১৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহের মধ্যে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে একটি স্কুলের ৩ শিক্ষক ও ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অসুস্থদের মধ্যে এক শিশুসহ তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, শুকলা রানী শিল, রেবেকা আক্তার শিক্ষার্থী রানিতা, নাহিদ, নাইমা, সাবিহা, রামিসা, মোহাম্মদ হাসান, শাহিন হোসেন, লামিয়া, পিয়াস, সুমনা আক্তার, লিমনের নাম পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি খেয়ে নয়-গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

পানি খেয়ে অসুস্থ রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর রবিবার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সকলেরই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি বের করে খাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি খাবেন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া যাওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে কোন ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়েজুর রহমান বলেন, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডা. এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোন লক্ষণ পাননি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বালী বলেন, রবিবার স্কুল খোলার পর শিক্ষক- শিক্ষাথীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাইনি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরেও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখবে। একইসাথে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।