ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে গাজীপুরে অটো গাড়ি চুরি, স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার জামালপুরে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের উপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী কন্যাকে ফিরে পেলেন স্বামী দীপংকর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদে ও ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের জামায়াতের প্রার্থীতা ঘোষণা ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার রাউজানে বাবার ২৯৫তম আর্ভির্ভাব উৎসব উপলক্ষে বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হেসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আমজাদ হোসেন ব্যতীত বাকি ৩ আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৪ আসামিও পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, ২০১১ সালের আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ রাতে জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যায়। সেসময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওইদিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইসুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্থলে রওনা হন। এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন ২৪ তারিখ সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের পোশাক পরিহিত হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওইদিনই পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত নামাদেরকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেই মামলায় তদন্ত শেষে আজ সোমবার বিচারক চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলায় বাকী আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

রাসেল হেসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আমজাদ হোসেন ব্যতীত বাকি ৩ আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৪ আসামিও পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, ২০১১ সালের আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ রাতে জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যায়। সেসময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওইদিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইসুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্থলে রওনা হন। এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন ২৪ তারিখ সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের পোশাক পরিহিত হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওইদিনই পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত নামাদেরকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেই মামলায় তদন্ত শেষে আজ সোমবার বিচারক চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলায় বাকী আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।