ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদক বিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার-০১ জন

ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদন্ড

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

মুসফিকুর রহমান কাজল, ক্রাইম রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামে কৃষক হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের লিটন বিশ্বাস ও মনিরুল বিশ্বাস। রায় ঘোষণার পরপরই তাদেরকে প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মশিয়ার রহমান ২০১৪ সালের ২৬ মে সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বৈঠকখানায় বসেছিলেন। সেসময় ওই গ্রামেরই কিছু মানুষ রামদা, লোহার রড, লাঠি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে টেনে হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী একটি টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। বিষয়টি টের পেয়ে চাচা মশিয়ারকে উদ্ধার করতে গেলে তার ভাতিজা রাতুলকেও পিটিয়ে আহত করেন তারা। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সেসময় আহত মশিয়ার রহমান ও রাতুলকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মশিয়ার রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। ওইদিনই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ জনকে আসামি করে হরিনাকুন্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

সেই মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরেরই নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত লিটন বিশ্বাস ও মনিরুল বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মামলার বাকি ৬ অভিযুক্তকে খালাশ প্রদান করা হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর ইসমাইল হোসেন জানান, নিহতের সঙ্গে আসামিদের পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে আদালত যে রায় দিয়েছে এটা যুগান্তকারী। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদন্ড

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

মুসফিকুর রহমান কাজল, ক্রাইম রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামে কৃষক হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের লিটন বিশ্বাস ও মনিরুল বিশ্বাস। রায় ঘোষণার পরপরই তাদেরকে প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মশিয়ার রহমান ২০১৪ সালের ২৬ মে সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বৈঠকখানায় বসেছিলেন। সেসময় ওই গ্রামেরই কিছু মানুষ রামদা, লোহার রড, লাঠি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে টেনে হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী একটি টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। বিষয়টি টের পেয়ে চাচা মশিয়ারকে উদ্ধার করতে গেলে তার ভাতিজা রাতুলকেও পিটিয়ে আহত করেন তারা। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সেসময় আহত মশিয়ার রহমান ও রাতুলকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মশিয়ার রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। ওইদিনই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ জনকে আসামি করে হরিনাকুন্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

সেই মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরেরই নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত লিটন বিশ্বাস ও মনিরুল বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মামলার বাকি ৬ অভিযুক্তকে খালাশ প্রদান করা হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর ইসমাইল হোসেন জানান, নিহতের সঙ্গে আসামিদের পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে আদালত যে রায় দিয়েছে এটা যুগান্তকারী। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।